স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া: ২ মে ভোট গণনার পর থেকে গ্রামীণ হাওড়ার (howrah village) বিভিন্ন ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী (bjp workers)। এমনটাই অভিযোগ গ্রামীণ হাওড়া বিজেপি নেতৃত্বের। তাই ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে পুলিশের (police) দ্বারস্থ হল হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির তরফে একটি দল উদয়নারায়ণপুর ও পেঁড়ো থানায় গিয়ে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে লিখিত আবেদন জানায়। আবেদন পত্রে লেখা হয়েছে, ২ মে ভোট গণনার পর থেকে উদয়নারায়ণপুর বিধানসভার বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া। তাঁদের অবিলম্বে ঘরে ফেরানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতি প্রত্যুষ মণ্ডল জানান, ‘ভোট গণনার পর থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে আমাদের বহু নেতা-কর্মী ঘরছাড়া। মহামান্য হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক কারণে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অর্ডার দিয়েছেন। সেই অর্ডার কপি ও ঘরছাড়াদের তালিকা আমরা থানায় গিয়ে পুলিশকে পৌঁছে দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে বিজেপি কর্মীদের নিজের বাড়িতে ফেরাতে হবে ও তাদের নিরপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আজকের এই কর্মসূচিতে জেলা সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির কনভেনার সুজয় চক্রবর্তী, জেলা সহ-সভাপতি রমেশ সাঁধুখা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।’
গতকাল অর্থাৎ সোমবারই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালকে (Governor) নালিশ করে বিজেপি। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে রাজভবনে (Raj Bhavan) যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। রাজ্যপালকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বিজেপি (Bjp) নেতারা। পরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য প্রশাসনকে দুষে তিনি বলেন, ‘‘কোথায় নারী সুরক্ষা? বাংলায় নারী সুরক্ষা নেই।’’
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। রাজ্যের ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ নিয়ে সোমবার রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) নালিশ জানান বিজেপি প্রতিনিধিরা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই দলের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ বিজেপির। রাজ্যপালকে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি প্রতিনিধিরা। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজভবনে যায় বিজেপি।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে হিংসা বাড়ছে বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের ফলের পর থেকেই সন্ত্রাস চলছে। খলিস্তানি জঙ্গিদের এনকাউন্টার হচ্ছে। এসসি, এসটি-দের উপর আক্রমণ হচ্ছে। মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের খতম করবেন ভাবছেন। বিরোধীদের বাক স্বাধীনতা খর্ব করা যাবে না।’’ বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর বহু এলাকায় বিজেপি কর্মীরা বাড়িছাড়া হয়েছেন বলে অভিযোগ শুভেন্দুর।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভোটের ফল প্রকাশের পর আজ ১ মাস ১২ দিন পরেও বিজেপি কার্যকর্তারা বাড়িতে নেই। প্রায় ১৭ হাজার কর্মী ঘরছাড়া। রাজ্যে হিংসা নিয়ে রাজ্যপালকে বলেছি। এই অবস্থা চলতে পারে না।’’
বিধানসভা ভোট মিটে গেলেও রাজ্যের রাজনৈতিক আবহ এখনও তপ্ত। বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর তুঙ্গে। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) নিজেও । রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার দায় সাসকদল তৃণমূলের ঘাড়েই চাপিয়েছেন রাজ্যপাল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.