হরিদ্বার: কোভিড বিধি না মানা, ভুয়ো টেস্ট, ‘কম্ভমেলা’কে (Kumbh Mela) ঘিরে এমন একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এবার তার তদন্ত শুরু হতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল একটি বেসরকারি ল্যাব। সেই ল্যাব নিজেদের টার্গেট পূরণের জন্য একাধিক দুর্নীতি করে। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হল, বেসরকারি সংস্থাটি এক লক্ষ ভুয়ো কোভিড (Covid 19) টেস্ট রিপোর্ট দেয়। উল্লেখ্য, এই সংস্থাকে করোনা টেস্টিং-এৎ দায়িত্ব দিয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকারই।
তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক সূত্রে খবর, ওই সংস্থাটি একই মোবাইল নম্বর দিয়ে ৫০ জনেরও বেশি করে নাম নথিভু্ক্ত করিয়েছে। এমনকি সংস্থাটি নাকি একটি কিট (Kit) দিয়েই ৭০০ জনের করোনার পরীক্ষা করেছে। দুর্নীতির কেবল এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, নথিভুক্ত হওয়া বেশিরভাগ মানুষের নাম এবং ঠিকানা ভুয়ো। এমনকি ৫৩০ জনের নমুনা কেবল হরিদ্বারের ‘হাউস নম্বর ৫’ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটা কি সম্ভব যে, একটা বাড়িতে একসঙ্গে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ বাস করতে পারে?
সবচেয়ে বড় অভিযোগ, দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই বেসরকারি সংস্থাটি নাকি কুম্ভমেলায় অন্তত ১ লক্ষ ভুয়ো করোনা রিপোর্ট পেশ করেছে। যাদের নামে রিপোর্ট তারা হয়ত কুম্ভমেলাতে অংশগ্রহণই করেননি। অথচ তাদের নামে ভুয়ো রিপোর্ট পেশ করা হয়।
প্রশ্ন হল এসব নমুনা যারা সংগ্রহ করেছিলেন তারা আসলে কে? সেখানেও নাকি দুর্নীতি। জানা গিয়েছে, নমুনা সংগ্রহের জন্য ২০০ জনের নাম পেশ করা হয়। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের জায়গায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই নমুনা সংগ্রহে কাজ করেছে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এবং পড়ুয়ারা। যার মধ্যে পড়ুয়াদের সংখ্যাটাই বেশি।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাজে কুম্ভমেলাকে ঘিরে এমনিতেই বিতর্ক চলছিল। তকমা পেয়েছিল সুপার স্পেরডারের। এর মধ্যে এমন বড়সড় দুর্নীতি উত্তরাখণ্ড সরকারকে বেশ ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে। তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, খুব দ্রুতই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.