কলকাতাঃ ১৪ জুন ২০২০। চলচ্চিত্র জগতের এক অন্ধকার দিন। সংবাদমাধ্যম, ইন্টারনেটে কেবল একটাই শিরোনাম, আত্মঘাতী হয়েছেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)। যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল দেশবাসী। টিভির পর্দায় বারবার দেখেও যেন কেউ বিশ্বাস করতে পারছিল না এমন একটা তরতাজা প্রাণ কীভাবে নিমেষে শেষ হয়ে যেতে পারে। অভিনেতার মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটের সামনে সেদিন হাজারো লোকের ভিড়। নিজের প্রিয় অভিনেতাকে শেষবার দেখার জন্যে ছুটে গিয়েছিলেন সুশান্ত অনুরাগীরা। আজ তার প্রয়াণের একবছর পূর্ণ হয়েছে। প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে রূপম ইসলাম (Rupam Islam) সুশান্তকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন নিজের ছন্দে। সুশান্তের মৃত্যুবার্ষিকীর আগের দিনই রূপমের ইউটিউব চ্যানেল ‘রূপম অ্যান্ড ফসিলস’এ (Rupam & Fossils) মুক্তি পেয়েছে তার নতুন গান ‘না বলা গল্পেরা… সুশান্ত সিং রাজপুতঃ দ্য আনটোন্ড স্টোরি’ (Sushant Singh Rajpur:An Untold Story)।

বাকি সবার মতন রূপম ইসলামের কাছেও সুশান্তের মৃত্যুটা ছিল বেদনাদায়ক। তবে আজ অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে নিজের সুরে নিজের কথায় শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন রূপম। তার ‘না বলা গল্পেরা’ (Na Bola Golpera) গানের মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠেছে অভিনেতার বেদনা, অবসাদের যন্ত্রণা। বেরঙিন সাদাকালো ছবি, হিজিবিজি রেখা, মুখোশের আড়ালে ভেসে উঠেছে সুশান্তের ‘না বলা গল্প’। প্রিয় অভিনেতার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে রূপম গানে বলেছেন, ‘এভাবেও কি যেতে হয়?’

তবে এই গানের কথা এবং ভাবনা রূপম ইসলামের বহু আগের লেখা। এক সাক্ষাৎকারে রূপম জানান, ১৯৯৯ সালে তিনি এই গান লিখেছিলেন। তবে তার এই গান সম্পুর্নতা পেয়েছে আজ। গানটি লেখার পরেও তিনি অনুভব করেছিলেন, এখনও কিছু অসম্পুর্ন রয়ে গিয়েছে। তার এই গান যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে এক বাস্তব চরিত্র। আর প্রিয় অভিনেতা সুশান্তের মৃত্যুর পর তিনি পেয়েছিলেন তার গানের সেই হারিয়ে যাওয়া বাস্তব চরিত্রটি।

সুশান্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাজারো প্রশ্নের ভিড় তাড়া করে বেরায় তার অনুরাগীদের, কি কারণে আত্মঘাতী হয়েছিলেন সুশান্ত। যার উত্তর নেই কারুর কাছে। তবে আজও খোঁজ চলছে সেই উত্তরের। অভিনেতার এমন আকস্মিক মৃত্যু রহস্য তদন্ত করছেন সিবিআই (CBI), এনসিবি (NCB), ইডি (ED)।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.