চণ্ডীগড়ঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন ভারতের কিংবদন্তি অ্যাথলিট মিলখা সিংয়ের(Milkha Singh) স্ত্রী নির্মল কউর(Nirmal Kaur)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। রেখে গেলেন স্বামী, পুত্র ও তিন কন্যাকে। রবিবার মোহালির ফর্টিস হাসপাতালে(Fortis Hospital) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের মহিলা ভলিবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক নির্মল। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন তিনি। রবিবার সন্ধেতে নির্মল কউরের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

গত ২৬ মে কোভিড নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে নির্মল ফর্টিস হাসপাতালে(Fortis Hospital) ভর্তি হন। তার কিছুদিন আগেই ফ্লাইং শিখও(Flying Sikh) একই হাসপাতালে কোভিড সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ভর্তি হয়েছিলেন। নির্মলের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় চারদিন পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নির্মল। অপরদিকে তাঁর স্বামী মিলখা সিং চন্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের(Post Graduate Institute of Medical Education and Research) আইসিইউতে ভর্তি থেকে এখনও এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছেন। মিলখা ও নির্মলের পরিবারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই কথাটি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিটিতে লেখা হয়েছে, ‘ আমরা খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, কোভিডের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজ বিকেল ৪ সময় শ্রীমতী নির্মল মিলখা সিং(Mrs Nirmal Milkha Singh) প্রয়াত হয়েছেন। মিলখা পরিবারের মেরুদন্ড, নির্মলের বয়স হয়েছিল ৮৫। এটা খুবই দুঃখের ফ্লাইং শিখ মিলখা সিং শেষকৃত্যে থাকতে পারবেন না, কারণ তিনি নিজেই এই মুহূর্তে আইসিইউতে রয়েছেন। মিলখা পরিবার আপনাদের শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ জানায়। এই শুভ কামনাগুলিই লড়াইয়ের সময় শক্তি জুগিয়েছে’।

১৯৩৬ সালের ১০ অক্টোবর শেখপুরাতে(বর্তমানে পাকিস্তান অধিকৃত পাঞ্জাবের অংশ) জন্ম হয়েছিল নির্মলের। ভারতের মহিলা ভলিবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক নির্মল পাঞ্জাব সরকারের ডিরেক্টর অফ স্পোর্টস ফর উইমেন(Director of Sports for Women) পদে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন। সেই পদে থাকাকালীন তিনি সারা পাঞ্জাবের পাশাপাশি চন্ডীগড়েও খেলার সারসরঞ্জামের আধুনিকীকরণের কাজ করেছিলেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.