বৃষ্টিপাতের নয়া রেকর্ড
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০১২ সালের পর ৮৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে ২০২০ সালে। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশের ১৮৫ টি আবহাওয়া স্থানীয় দফতর ২০১২ সালে ভারী বৃষ্টির তথ্য দিয়েছে এলাকার ভিত্তিতে। এরপর ২০২০ সালে দেশের ৩৪১ টি জায়গায় ভারী বৃষ্টির কথা জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতরগুলি।
ভারী বৃষ্টি ও ২০১৯ সালের ব্যাতিক্রমী রেকর্ড
আবহাওয়ার রিপোর্ট বলছে, ২০১৯ সাল বৃষ্টিপাতের নিরিখে একটি ব্যতিক্রমী বছর ছিল। সেবার দেশের ৫৫৪ টি স্টেশন (আবহাওয়া) জানিয়েছে যে সেখানে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। সেবার ৩,০৫৬ টি আবহাওয়ার স্থানীয় স্টেশন জানিয়ে দেয় যে সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বছরের বৃষ্টিপাতকে তাই ব্যতিক্রমী বল ধরা হয়।
বৃষ্টিপাতের তীব্রতা কীভাবে মাপা হয়?
উল্লেখ্য ধরে নেওয়া হয় যে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হচ্ছে হালকা বৃষ্টি। ১৫ থেকে ৬৪.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হচ্ছে মাঝারি বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে , ৬৪.৫ মিলিমিটার থেকে ১১৫.৫ মিলিমিটার। অতিভারী বৃষ্টিপাাত হচ্ছে ১১৫.৬ মিলিমিটার থেকে ২০৪.৪ মিলিমিটার। প্রবল ভারী বর্ষণ হিসাবে ধরে নেওয়া হয় ২০৪.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে।
পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি!
কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, ২০২০ সালে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের ধ্বংসলীলা চলে। এই সময়, পশ্চিমবঙ্গে ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়। যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। বাংলার পরই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাত।
প্রবল বর্ষণ বাড়তে শুরু করেছে দেশের কোন এলাকাগুলিতে?
কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, ক্রমেই দেশের আবহাওয়ার বেশ রকিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয়, উত্তর ও পশ্চিম হিমালয়ের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাতের ব্যাপকতা বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে পরোক্ষে যোগ সূত্র থাকতে পারে বিশ্ব উষ্ণায়ণের। তবে এই যোগসূত্র সরাসরি রয়েছে এমন দাবি করা যায় না, বলে জানিয়েছে
রিপোর্ট।