নয়াদিল্লি: ব্যাঙ্ক, এলআইসি, পোস্ট অফিসের মতন কোনো সরকারি সংস্থাতে টাকা বিনিয়োগ করেও অনেক গ্রাহক স্বস্তিতে থাকতে পারেন না। অনেক সময় India Post Payment Bank বা পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা জালিয়াতির খবর পাওয়া যায়। তাতে গ্রাহকরা আরও চিন্তায় পরে যান। বিনিয়োগের পর সারাক্ষন তাদের মধ্যে ভয় কাজ করে, আদৌ টাকাটা ফেরত পাবো তো! কোনো প্রতারণার শিকার হতে হবে না তো! সেই সমস্ত সমস্যার সমাধানে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইন্ডিয়ান পোস্ট অফিস (Indian Post Office)। যেখানে জানানো হয়েছে, India Post Payment Bank বা পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো জালিয়াতির (Fraud) শিকার হলে এবার গ্রাহকরা সহজেই অভিযোগ জানাতে পারবেন। যদিও অভিযোগ জানানোর জন্যে সিস্টেম আছে তা সত্ত্বেও নতুন একটি ফর্ম চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ জালিয়াতির অভিযোগ জানানোর জন্যে Simplified Standardized Claim Form লঞ্চ করলো পোস্ট অফিস।

কোন অ্যাকাউন্ট-এর জন্যে অভিযোগ জানাতে পারবেন

Post office saving bank account, Cash Certificate, Money Orders/EMOs, PLI/RPL, SOP এর ক্ষেত্রে কোনো জালিয়াতির শিকার হলে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

যেভাবে অভিযোগ করবেন

যদি কোনও পোস্ট অফিস গ্রাহকের অভিযোগ করতে হয় তবে প্রথমে Simplified Standardized Claim ফর্মটি পূরণ করতে হবে। ফর্মটির সঙ্গে স্ব-প্রত্যয়িত আইডি প্রুফের ফটোকপি জমা দিতে হবে। ফটো আইডি হিসাবে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার আইডির যেকোনো একটি জমা দিতে হবে। সঙ্গে পাসবুক, আমানতের রশিদও দিতে হবে। আধিকারিকরা গ্রাহকের আসল নথিও দেখতে পারেন। তদন্তে সহায়তা করার জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে বিবৃতিও নিতে পারেন। তদন্ত শেষ করতে ডাকঘর নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্দিষ্ট করেছে। উদাহরণস্বরূপ কোনো সাধারণ মামলা হলে একদিনে সমাধান হতে পারে। তবে সর্বোচ্চ ২৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে যেসব ক্ষেত্রে Forensic examination এর প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে ৯০ দিন সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, কোভিড মহামারীতে, ইন্ডিয়ান পোস্ট পেমেন্ট ব্যাংক সম্প্রতি আধার এনাবেল্ড পেমেন্ট সার্ভিস চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় গ্রাহকরা কোনও পাসবুক বা এটিএম কার্ড ছাড়াই তাত্ক্ষণিক অর্থ প্রদান করতে পারবে। গ্রাহককে ১০০ থেকে ১০ হাজার টাকা প্রদানের জন্য আধার কার্ডটি নিজের কাছে রাখতে হবে। এর পরে, আধারটি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করে এই অর্থ প্রদান করা হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.