কলকাতা: ‘এক দেশ – এক রেশন কার্ড’ (One Nation, One Ration) চালু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal Govt) কোনও আপত্তি নেই, সোমবার নবান্নে (Nabanna) জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । এই প্রকল্পটি নিয়ে কাজ চলছে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা (Corona) মোকাবিলায় রাজ্যে জারি রয়েছে কার্যত লকডাউন (Lockdown)। গত কয়েকদিনে রাজ্যের সংক্রমণ-গ্রাফ খানিকটা নিম্নমুখী হওয়ায় ফিরছে স্বস্তি। আগামী ১৬ জুন থেকে রাজ্যে বিধিনিষেধে কিছুটা ছাড় মিলছে। এই ঘোষণার সময়েই ‘এক দেশ – এক রেশন কার্ড’ চালু নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

‘এক দেশ – এক রেশন কার্ড’ চালু নিয়ে এখনও স্থায়ী কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার। তবে এই প্রকল্পে যে তাঁর সরকারের কোনও আপত্তি নেই তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ‘এক দেশ – এক রেশন কার্ড’ চালু নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে ‘এক দেশ – এক রেশন কার্ড’ চালু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই ‘এক দেশ – এক রেশন কার্ড’ চালু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ‘এক দেশ-এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থেই এই প্রকল্প দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। করোনার জেরে জারি করা বিধিনিষেধে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন পরিযায়ী শ্রমিকরাই (Migrant Labours) ।

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েন লক্ষ-লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। থাকার জায়গার সমস্যার পাশাপাশি খাবারের জন্যও নিদারুণ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় তাঁদের। টাকা না থাকায় অনেককে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিরই নিরসণ চায় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সব রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে রেশন পণ্য সংগ্রহ করতে পারেন, সেই কারণেই ‘এক দেশ-এক রেশন’ ব্যবস্থা দ্রুত কার্যকর হওয়া জরুরি বলে মনে করে সর্বোচ্চ আদালত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.