কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেরই রোজগার বন্ধ। জমানো টাকা দিয়েই চলছে সংসারের যাবতীয় খরচ। রোজকার জিনিসপত্রের দাম কমার কোনো নাম গন্ধ নেই, ক্রমেই বাড়ছে পেট্রো পণ্যের দাম, যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতি ক্রমশ বেড়েই চলেছে রান্নার গ্যাসের (Gas cylinder) দাম। একে নেই আয়, তার মধ্যে যদি খরচ বেড়ে যায় তবে তো বিস্তর সমস্যা। আর বেশীরভাগ মানুষই যেহুতু এখন গৃহবন্দী, তাই ঘন ঘন চায়ের কাপে চুমুক অথবা নিজের রসনা তৃপ্তির বিলাসিতার বসে বিভিন্ন রান্নাবান্না, এতে আর গ্যাসের দোষ কোথায়? সে তো খরচ হবেই। এমন কোনো উপায় আছে কি যাতে গ্যাস বাঁচানো যায়? এই প্রশ্ন যখনই আপনার মাথায় ঘুরছে তখনই সমস্যার সমাধান নিয়ে এলো কলকাতা ২৪x৭। গ্যাস বাঁচানোর বেশ কিছু টিপস দেখে নিন।

১. রান্না করার সময় রান্নার সরঞ্জাম সব হাতের সামনে নিয়ে রান্না করতে বসুন। এর ফলে রান্না করার সময় কোনো সরঞ্জামের জন্য আপনাকে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করতে হবে না। এতে আপনার সময়ও বাঁচবে আর বাঁচবে গ্যাসও।

২. সাধারনত বেশিরভাগ বাড়িতেই রোজকার রান্না বান্না কড়াইতে হয়। কড়াইতে রান্না সেদ্ধ হতে সময় লাগে, তাই গ্যাস খরচ ও বেশি হয়। যে রান্না গুলো কড়াইতে না করে প্রেসার কুকারে (Pressure cooker) করা সম্ভব সেই রান্না গুলো প্রেসার কুকারে করে নেওয়াই ভালো। এতে সময় ও গ্যাস দুই সাশ্রয় হবে। আর একান্তই যদি কড়াইতে রান্না করতে হয়, তবে কড়াইতে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন।

৩. মাংস রান্না করার সময় অবশ্যই প্রেসার কুকার ব্যবহার করুন। কারণ মাংস সেদ্ধ হতে সময় লাগে, গ্যাস খরচ বেশী হয়। তাই প্রেসার কুকারে মাংস সেদ্ধ করে নিয়ে রান্না করুন।

৪. এখন সব উপকরণ আমরা ফ্রিজে রাখি। এবং রান্না করার সময় সেই গুলো সরাসরি কাজে লাগাই। ঠান্ডা হয়ে থাকার ফলে এই গুলো রান্না হতে সময় বেশি লাগে। গ্যাস খরচ বেশি হয়। তাই রান্না করার কমপক্ষে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে রান্নার জন্য যাবতীয় জিনিস ফ্রিজ থেকে বের করে রেখে দিন।

৫. ঘন ঘন চা খাওয়ার অভ্যেস আছে যাদের তার একটি ইলেকট্রিক কেটল (electric kettle) কিনে নিতে পারেন। বৈদ্যুতিক এই কেটলিতে নিমেষে চা তৈরি হয়ে যাবে । আলাদা করে গ্যাস চা করার প্রয়োজন হবে না। এতে আপনার গ্যাসের সাশ্রয় হবে।

এছাড়া গ্যাস বাঁচানোর জন্য নিয়মিত গ্যাসের ওভেন পরিষ্কার রাখুন। গ্যাসে থেকে হলুদ শিখা বেরোলে বুঝতে হবে এবার গ্যাস পরিষ্কার করা প্রয়োজন। গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা সেই দিকেও নজর দিন। নিয়মিত গ্যাস সার্ভিসিং করান। এতে গ্যাস বাঁচবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.