কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণে আশা দেখাচ্ছে কোভ্যাক্সিন, এখনও ভরসা টিকিয়ে রাখছে ফাইজার

২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকাকরণের জন্য ইতিমধ্যেই ভারত বায়োটেককে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেই প্রক্রিয়া। এদিকে বর্তমানে ৯৫ কোটি প্রাপ্ত বয়ষ্ক ছাড়াও আরও ১৩ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ পড়ে ১২ থেকে ১৮ বছরের বয়সসীমার মধ্যে। এদিকে ভারতে কোনও ভ্যাকসিন ছাড়পত্র না পেলেও ১২-১৫ বছরের কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে ফাইজার ও মডার্না।

আগামীতে ভারতও সেই রাস্তাতেই হাঁটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রধান ঢাল হবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের নিজস্ব করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন। যদিও ভারতেও ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকার আসার কথা রয়েছে। কিন্তু কবে তা আসবে সেই বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু তা এলেও তা কতদিনে কিশোর-কিশোরীদের দেওয়া সম্ভব হবে তা নিয়ে নিশ্চিত নন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরাও।

তবে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শেষে সুফল মিললেই এই কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী বড়মাত্রায় টিকা তৈরির ক্ষেত্রে প্রস্তুত হয়েছে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক। সূত্রের খবর, সরকার চাইছে দ্রুত ৮০ শতাংশ কিশোর-কিশোরীকে টিকাকরণের আওতায় আনতে। সেই ক্ষেত্রে ১৩ কোটির মধ্যে প্রাথমিক ভাবে প্রায় সাড়ে দশ কোটি কিশোর-কিশোরীর টিকাকরণ করে ফেলতে হবে।

আর এই ক্ষেত্রেই প্রয়োজন প্রায় ২০ কোটির বেশি করোনা টিকা। তবেই সকলকে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া সম্ভবপর হবে। তবে ফাইজারের টিকা দ্রুত ভারতে এসে গেলে টিকাকরণের কাজ অনেকটাউ সহজ হয়ে যেত। তবে সরকারি সূত্রে খবর, এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। তবে তারা দ্রুত টিকা পাঠাতে রাজি হলেও প্রাথমিক ভাবে তারা ৫ কোটি করোনা টিকা দিতে পারবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

More CORONA VACCINE News  

Read more about:
English summary
covaxin shows hope in vaccinating adolescents in india, hope in Pfizer too