দল চালাতে ব্যর্থ দলনেতা। এছাড়াও একাধিক কারণ দেখিয়ে তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন 'লোক জনশক্তি পার্টি’র পাঁচ সাংসদ। চিরাগকে দলনেতা হিসেবে মানবেন না বলেও লোকসভার স্পিকারকেও ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এবার তাদের বিদ্রোহের পরেই চিরাগ পাসওয়ানের কাকা তথা হাজিপুরের সাংসদ পশুপতি কুমার পারসে সর্বসম্মতিক্রমে লোকসভায় লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) প্রধান নেতা নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে ৬ এলজেপি সংসাদের মধ্যে ৫ বিদ্রোহী সাংসদদের তালিকায় ছিল পশুপতীর নামও। যদিও গোটা ঘটনায় জেডিইউ-র বিরুদ্ধের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে চিরাগ শিবির। এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে জেডিইউ-এলজেপি সম্পর্কের ফাটল ক্রমশ চওড়া হতে শুরু করলে পশুপতীর সঙ্গে নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠতা সকলেরই নডরে পড়েছে। এমনকী বাকি চার সংসাদের বিদ্রোহের পিছনে পশুপতি পিছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, চিরাগ শিবির ছাড়লেই বিহারের শাসকদল জেডিইউয়ে যোগ দিতে পারেন এই ৫ বিদ্রোহী সাংসদ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাঁরা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে তাঁদের এলজেপি-র সাংসদ হিসাবে বিবেচনা না করার আবেদন জানিয়েছিলেন বলেও খবর। তবে আপতত পশুপতির নেতৃত্বেই তারা দলে থাকতে চাইছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে চিরাগের জন্য খোদ তাঁর কাকার হাতেই নতুন কোনও চক্রবূহ্য রচনা হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।
এদিকে রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর থেকে এলজেপির শীর্ষপদে কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছেন চিরাগ। তারইমধ্যে নরেন্দ্র মোদীর বর্ধিত মন্ত্রিসভায় কে ঠাঁই পাবেন, তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। এমতবস্থায় নয়া চালে পশুপতি চিরাগের থেকে ধারে ভারে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তার অঙ্গুলিলেহনেই পার্টিতে ফাটল ধরার যে অভিযোগ উঠছে তা এদিন তিনি ফের অস্বীকার করেন। পাশাপাশি ভাঙন নয়, ৪ সাংসদকে সাংসদকে দলে রেখে তিনি দলকে বাঁচিয়েছেন বলে তাঁর মত। এমনকী তাঁর ভাইপো তথা পার্টির সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্টের উপরও তাঁর কোনও অভিযোগ নেই বলে সংবাদমাধ্যমে জানান তিনি।