বেলুড়: বেলুড় (Belur) ইএসআই হাসপাতালে (Esi Hospital) বিধায়কের (Mla) সারপ্রাইজ ভিজিট। আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে রোগীদের খাবার বণ্টনে কারচুপি ধরলেন বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ (Kalyan Ghosh)। চাপে পড়ে খাবারে কারচুপির কথা স্বীকার খোদ ঠিকাদারি সংস্থার। সোস্যাল মিডিয়ায় ডোমজুড়ের (Domjur) তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের এই সারপ্রাইজ ভিজিটের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ইতিমধ্যেই খাবারে কারচুপির অবিযোগ পেয়ে একটি মনিটরিং কমিটি তৈরি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে চাইছে রাজ্য সরকার। তবে এখনও বেশ কিছু সরকারি হাসপাতেল দেদার অনিয়ম চলছে। তারই সাম্প্রতিকতম নিদর্শন বেলুড়ের ইএসআই হাসপাতাল। এই হাসপাতালে রোগীদের (Patients) নির্ধারিত ওজনের কম খাবার পরিবেশনের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। সোমবার সকালে আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। খাবারে কারচুপির বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি। এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঔদাসীন্যকেও দায়ী করেছেন বিধায়ক।
হাসপাতালে সরকার নির্ধারিত ওজনের থেকে কম খাবার দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। বেলুড়ের ইএসআই হাসপাতালে আচমকা বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের সারপ্রাইজ ভিজিটের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কারচুপির কথা স্বীকারও করেছে ঠিকা সংস্থা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে মনিটরিং টিম তৈরি করেছে।
বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ এদিন বলেন, ‘‘নির্ধারিত ওজের কম মাছ-মাংস পাচ্ছেন রোগীরা। দুধে জল মিশিয়ে রোগীদের খেতে দেওয়া হচ্ছে।’’ বেলুড়ের ইএসআই হাসপাতালে এই অব্যবস্থা নিয়ে এলাকার প্রাক্তন বিধায়ককে কাঠগড়ায় তুলেছেন বর্তমান বিধায়ক। হাসপাতালের এই অব্যবস্থার জন্য প্রাক্তন বিধায়কই দায়ী বলে মনে করেন কল্যাণ ঘোষ।
এদিকে, ফের পুরনো দল তৃণমূলের দিকে ঝুঁকছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে বিজেপির প্রায় কোনও কর্মসূচিতেই দেখা মেলেনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর দিন কয়েক আগে মুকুল রায় বিজেপি ছাড়ায় রাজীবের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে। তবে তাঁর সেই লক্ষ্য যে সহজে পূরণ হবে না তা ধরাই যায়। দিন কয়েক ধরেই ডোমজুড়ে রাজীবের নামে গদ্দার, মীরজাফর লেখা পোস্টার পড়ছে। এর উপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তথা বিধায়কও সুর চড়াচ্ছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.