মাতৃবিয়োগ হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আর সেই সূত্রে অনেকেই দেখা করতে যাচ্ছেন তাঁর সঙ্গে। সেই তালিকায় যাদের নাম থাকছে, তাঁদের মধ্যে অনেককে নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চলছে জল্পনা।
গত কাল নাকতলার সেই বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপধ্যায়।
আর আজ, সোমবার পার্থর বাড়িতে হাজির হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন সন্ধেয় যান তাঁরা দু'জনে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমবেদনা জানানো মূল উদ্দেশ্য হলেও এই অতিথিদের আগমন সাদা চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল।
অনেকেই মনে করছে দলবদলের হাওয়ায় শোভনও ঘাসফুল শিবিরের কাছে আসার চেষ্টা করছে। দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু নানা মতবরোধে শোভন-বৈশাখী উভয়ের সঙ্গেই মত বিরোধ বেড়েছে। দল বদলের পরও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা প্রকাশ্যে এসেছে অনেক সময়ই। আজও তার ব্যতিক্রম নয়।
শুধু শোভন বা বৈশাখী নয়, রাজীবের উপস্থিতিও জল্পনা বাড়িয়েছে আরও। কয়েকদিন আগেই এই বিজেপি নেতা হাজির হয়েছিলেন কুণাল ঘোষের বাড়িতে। স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত না করলেও রাজীবের সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বাড়ছে বলেই অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের
উল্লেখ্য, সদ্য ফেসবুক লাইভে এসে শিরোনামে আসেন শোভন-বৈশাখী। রত্না চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। লাইভ জুড়ে রত্নার নামে একের পর এক অভিযোগ সামনে আনলেন শোভন।
তিনি বলেন, 'নিজাম প্যালেসে রত্না আমার সঙ্গে কথা বলতে এলে আমি কথা বলিনি। সিবিআইয়ের আধিকারিকদের জানাই যে ওই মহিলা যেন এখান থেকে চলে যায়। আর আমায় আইনজীবী দিয়ে সাহায্য করেছে বলে যে দাবি করেছে রত্না, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমায় গ্রেফতারির পর থেকে জামিন পাওয়া অবধি পুরো সময়টাই বৈশাখী আমার পাশে ছিল।'