ব্রাসিলিয়া: কোপা আমেরিকার (Copa America) শুরুতেই সাম্বার ছন্দ৷ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ছন্দ কোপা আমেরিকাতেও ধরে রাখল গতবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল (Brazil)৷ আক্রমণাত্মক ফুটবলে উদ্বোধনী ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে (Venezuela) হারিয়ে খেতাব ধরে রাখার অভিযান শুুরু করলেন নেইমাররা (Neymar)৷ ব্রাসিলিয়ার এস্তাডিও মানে গারিঞ্চায় কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতল ব্রাজিল।
ম্যাচে নেইমার ছিলেন অনবদ্য৷ গোল করেছেন, গোল করিয়েছেন৷ সফল ড্রিবলে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ৬ বার কাটিয়ে গোল করার বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছেন ২টি৷ তবে গোল করার বড় সুযোগ নষ্টও করেছেন তিনবার৷ ম্যাচটিকে নেইমারময় বলার কারণ যে নেইমার শুধু গোল করেছেন বা করিয়েছেন সেটা নয়, বরং গোল মিসের মহড়াতেও নেইমার(Neymar) ছিলেন সবার চেয়ে এগিয়ে।
লাতিন আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে কোপার উদ্বোধনী ম্যাচে ভেনেজুয়েরার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল(Brazil)৷ দেশে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিরুদ্ধে ছিলেন নেইমার-কাসেমিরোরা। তবে মাঠের লড়াই শুরুর পর নিজেদের সেরাটা দিল তিতের দল৷ ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে প্রথমার্ধে মার্কিনিওস (Marquinhos) দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার (Neymar)। শেষ দিকে গাব্রিয়েল বারবোসার (Gabriel Barbosa) গোলে ৩-০ ম্যাচ জিতে নেয় নেইমার অ্যান্ড কোং৷
তবে কোপার(Copa America) উদ্বোধনী ম্যাচে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ভেনেজুয়েলাশিবিরে হানা দিয়েছিল করোনাভাইরাস৷ ভেনেজুয়ালের(Venezuela) ৮ ফুটবলার-সহ ১৩ জন সদস্য কোভিডে(COVID-19) আক্রান্ত হয়। ফলে প্রথম একাদশের সাত খেলোয়াড়কে বাইরে রেখেই গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ভেনেজুয়েলা৷ তাই নেইমারদের বিরুদ্ধে খুব একটা চ্যালেঞ্জ দিতে পারেনি তারা৷
তাই ধারেভারে পিছিয়ে থাকা ভেনেজুয়েলাকে শুরু থেকে চেপে ধরে ব্রাজিল(Brazil)। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় প্রথম ভালো সুযোগ নষ্ট করে ব্রাজিল। নেইমারের কর্নারে কাছের পোস্টে রিশার্লিসনের ফ্লিকে স্রেফ পা-ছোঁয়ানোর প্রয়োজন ছিল। দূরের পোস্ট থেকে ছুটে গিয়ে চেষ্টা করেছিলেন গাব্রিয়েল জেসুস৷ কিন্তু নাগাল পাননি তিনি। তবে ২৩ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। নেইমারের(Neymar) কর্নার থেকে গোল লাইনের সামনে বল পেয়ে যান মার্কিনিয়োস। ভেনেজুয়েলার খেলোয়াড়ের বাধার মুখেও বুদ্ধিদীপ্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মার্কিনিওস খুঁজে নেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সুযোগ পান নেইমার (Neymar)। জেসুসের ক্রস ধরে শট নিলেও লক্ষভ্রষ্ট হন৷ তবে ৬৪ মিনিটে স্পট-কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। চোট কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার পর এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন নেইমার। এ নিয়ে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ১০৬ ম্যাচে ৬৭টি গোল করলেন তিনি৷ আর মাত্র ১০টি গোল করলে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে কিংবদন্তি পেলের (Pele) পাশে বসবেন নেইমার (Neymar)৷
ম্যাচের ৮৯ মিনিটে বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন নেইমার। বলের নাগাল পাননি ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষক। বুক দিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান বারবোসা। ব্রাজিলের শেষ তিন ম্যাচে এটি নেইমারের তৃতীয় ‘অ্যাসিস্ট।’ দেশের মাটিতে কোপা আমেরিকার (Copa America) ম্যাচে এনিয়ে টানা ২১ ম্যাচে অপরাজিত পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১৯৭৫ সালে পেরুর বিরুদ্ধে শেষবার হেরেছিল ব্রাজিল(Brazil)।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.