নীতীশ কাঁটায় বিদ্ধ চিরাগ
তবে গোটা কর্মকাণ্ডের পিছনে নীতীশ কুমারের জেডিইউ-র হাত রয়েছে বলে মনে করছে চিরাগ শিবির। এমনকী সূত্রের খবর, চিরাগের শিবির ছাড়লেই বিহারের শাসকদল জেডিইউয়ে যোগ দিতে পারেন এই ৫ বিদ্রোহী সাংসদ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাঁরা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে তাঁদের এলজেপি-র সাংসদ হিসাবে বিবেচনা না করার আবেদন জানিয়েছেন।
কাকার চালেই কুপোকাত চিরাগ ?
পশুপতি কুমার পরশ ছাড়াও বিক্ষুব্ধ সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন প্রিন্স রাজ, চন্দন সিং, বীণা দেবী, মেহবুব আলি কাইজার। তাঁদের দাবি যেভাবে দল পরিচালনা করছেন চিরাগ, তাতে খুশি নন ওই পাঁচজন। এদিকে ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখলেও নীতীশের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন চিরাগ। যদিও তাঁর কাকা পশুপতিকে আবার অতীতে একাধিকবার নীতিশের প্রশংসা করেছেন। এই গোটা বিদ্রোহ পর্বের মধ্যে তাঁর বড়সড় হাত আছে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।
শীর্ষপদে কার্যত একঘরে চিরাগ
বর্তমানে গত বছর রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর থেকে এলজেপির শীর্ষপদে কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছেন চিরাগ। তারইমধ্যে নরেন্দ্র মোদীর বর্ধিত মন্ত্রিসভায় কে ঠাঁই পাবেন, তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। এলজেপি বিধানসভা ভোটে এনডিএ-র বিরুদ্ধে লড়লেও কেন্দ্রে বিজেপির শরিক। এমতাবস্থায় বাবার মৃত্যুর পর থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ দাবি করে বসে রয়েছেন রামবিলাস পুত্র।
ধাক্কাটা এসেছিল ভোটের পরেই
এদিকে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে এলজেপি-র ভরাডুবি হওয়ার পর মুখ খুলেছিলেন দলের একাধিক নেতা। এই বছর এপ্রিলেই নেতা কেশব সিংহ দলের কর্মীদের ঠকানোর অভিযোগ তোলেন চিরাগের বিরুদ্ধে। যদিও এ সবের পিছনেই চিরাগের কাকা পশুপতি। এমতাবস্থায় লোকসভায় ৬ সাংসদের মধ্যে একযোগে ৫ জন দল ছাড়লে যে শক্তি হারিয়ে কার্যত প্রসঙ্গহীন হয়ে পড়বে দল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।