মুম্বই: ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly) নিয়ে বোমা ফাটালেও ক্যাপ্টেন রাহুল দ্রাবিড়কে (Rahul Dravid) প্রশংসা ভরিয়ে দিলেন সুরেশ রায়না (Suresh Raina)৷ টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের মতো, সতীর্থদের ড্রেসকোডেও নজর রাখতেন অধিনায়ক দ্রাবিড়৷ ‘Believe: What Life and Cricket Taught Me,’ বইয়ে রায়না দু’টি ঘটনার উল্লেখ করেছেন। যা থেকে অধিনায়ক দ্রাবিড়ের খেলার প্রতি সিরিয়াসনেস, তাঁর দর্শন, তাঁর চিন্তাভাবনা সব কিছুই প্রকাশ পেয়েছে।
রায়না (Raina)তাঁর আত্মজীবনী-তে এমন কিছু জিনিস তুলে ধরেছেন, যা নিঃসন্দেহে সৌরভ ভক্তদের পছন্দ হবে না। এই বই-তে নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শুরুর দিকের বেশ কিছু ঘটনা শেয়ার করেছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন বাঁ-হাতি। এই ঘটনাগুলিতে যেমন তৎকালীন টিম ইন্ডিয়ার কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের প্রশংসা করা হয়েছে, তেমনই সৌরভ-সচিনের সমালোচনা করা হয়েছে৷ ক্যাপ্টেন হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের এগিয়ে রেখেছেন রায়না (Raina)। নিজের বইয়ে মালয়েশিয়া সফরে দ্রাবিড়ের নেতৃত্বের প্রশংসা করে একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি৷ যাতে ক্যাপ্টেন দ্রাবিড়ের সিরিয়াসনেস প্রকাশ পেয়েছে৷
২০০৬ সালে মালয়েশিয়ার ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে গিয়েছিল ভারত৷ সিরিজের বাকি দু’টি দল ছিল অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে (India skipper) ত্রিদেশীয় এই টুর্নামেন্ট খেলেছিল ভারত৷ রায়না তাঁর বইতে লিখেছেন, খেলার আগে দ্রাবিড় এতটাই সিরিয়াস থাকতেন যে, তাঁকে বিরক্ত করার সাহস কারও হত না। শুধু নিজের সিরিয়াসনেস নয়, সতীর্থদের প্রত্যেকের প্রতি নজর থাকত৷ এমমনকি জুনিয়ররা ম্যাচ ও প্র্যাকটিসের বাইরে কী পোশাক পড়ত, সে দিকেও নজর থাকত রাহুলের৷ রায়না লিখেছেন, “Do you know what you are wearing and walking around in? You are an Indian cricketer. You cannot be out in public with that written on your T-shirt.”
মালয়েশিয়ায় শপিং করতে গিয়ে রায়না (Raina)একটি স্টাইলিশ টি-শার্ট পছন্দ করেছিলেন। যাতে লেখা ছিল ‘FCUK’৷ সেই টি-শার্ট রায়নাকে পরে ঘুরতে দেখে দ্রাবিড় বলেছিলেন, ‘তুমি কি জান, তুমি কী পরে ঘুরে বেড়াচ্ছো? ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হয়ে তুমি এ ধরনের লেখা টি-শার্ট পরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পার না।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.