অনুশাসন মেনেই দল ভর্তি করতে চাইছেন মমতা
বিজেপির চ্যালেঞ্জ সামলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের ভোটে জয় ছিনিয়ে আনার পর দরাজ কণ্ঠে বলেছিলেন, কেউ যদি ফিরতে চান, স্বাগত। তারপর থেকেই দলবদলুদের আকুতি আসছে তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। তাঁরা ফিরতে চান। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে জিতে আবেগের বশে তা বললেও, বাস্তবে তিনি অনুশাসন মেনেই দল ভর্তি করতে চাইছেন।
গদ্দারদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না : মমতা
দলবদলুদের তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত হওয়ার পর মুকুল রায় সপুত্র তৃণমূলে ফিরেছেন। মুকুলের যোগদান মঞ্চেই তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা গদ্দারি করেছে দলের সঙ্গে তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।
হাট করে খোলা হবে না তৃণমূলের দরজা
তিনি বলেন, ভোটের আগে যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের অনেকে চরমপন্থী ও নরমপন্থী মনোভাব নিয়েছিলেন। দলে তাই সবাইকে ঠাঁই দেওয়া হবে না। হাট করে খোলা হবে না দরজা। তৃণমূল সাংগঠনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েই দলে ফেরাবে নেতানেত্রীদের, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলে ফিরতে তৎপরতা রাজীব-সোনালির
এখন পর্যন্ত তৃণমূলে ফিরতে বেশি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোনালি গুহের। সোনালি নিজের ভুল স্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে বিজেপির সমালোচনা করেই ক্ষান্ত থাকেননি, সটান চলে গিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাড়ি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও গিয়েছিলেন প্রয়াত মাকে শ্রদ্ধা জানাতে।
তৃণমূলের ফিরতে মুকুল-রাজীবের ফারাক কোথায়
কিন্তু রাজীব বা সোনালি উভয়ের ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তৃণমূল। তৃণমূল এখনও ভাবছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে। ভোটের আগে মুকুল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেননি। রাজীবকে নিয়ে তৃণমূলের অন্য সমস্যা রয়েছে। তিনি ভোটের আগে দল ছেড়েছিলেন, সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে ব্যক্তি-কুৎসা তিনি করেননি।
তৃণমূলে ফিরতে চাওয়ার তালিকা বেশ লম্বা দিন দিন
রাজীব-সোনালি ছাড়াও তৃণমূলে ফিরতে চাওয়ার তালিকা বেশ লম্বা। সব্যসাচী দত্ত, বিশ্বজিৎ দাস, সুনীল সিং, প্রবীর ঘোষাল, সরলা মুর্মু, দীপেন্দু বিশ্বাস, অমল আচার্ষ প্রমুখের নাম প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে কারও ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে বিজেপিতে ভাঙন ধরে গিয়েছে। নিচুস্তরের অনেক নেতা-কর্মী দল ছাড়ছেন।