নয়াদিল্লি: প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এগুলো সবই সরকারী পরিচয়পত্র হিসাবে কাজ করে। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পরে এই আইডিগুলির কী হয়? মৃত ব্যক্তির আইনী উত্তরাধিকারীরা প্রায়শই জানেন না যে, মৃত ব্যক্তির বিভিন্ন সরকারী নথি এবং আইডি নিয়ে তাদের কী করা উচিত। এই নথিগুলো ঠিক কতদিন কাছে রাখা উচিত ?এগুলো কি প্রশাসনকে ফিরিয়ে দিতে হয় ? যদিও এক একটি নথির ক্ষেত্রে এক এক রকম নিয়ম। চলুন জেনে নেওয়া যাক নিয়মগুলো-

আধার কার্ড

আধার নম্বর (Aadhaar Card) গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্রগুলোর মধ্যে একটি। ঠিকানার প্রমান হিসাবেও ব্যবহার হয়। এলপিজি ভর্তুকি থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা, পিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে আধার কার্ড প্রয়োজন। আধার একেবারেই স্বতন্ত্র পরিচয় নম্বর। তবে, আইনি উত্তরাধিকারী বা পরিবারের সদস্যদের আধার যাতে অপব্যবহার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মৃত ব্যক্তির আধার কার্ড বাতিল করার জন্য ইউআইডিএআইয়ের কোনও প্রক্রিয়া নেই এবং আধার ডাটাবেসে ধারকের মৃত্যুর তথ্য আপডেট করারও বিধান নেই।

ভোটার আইডি কার্ড

ভোটার আইডি কার্ডের (Voter ID Card) ক্ষেত্রে নির্বাচনী রেজিস্টার্ড বিধি, ১৯৬০ এর অধীনে, ব্যক্তির মৃত্যুর পরে এটি বাতিল করার নিয়ম রয়েছে। নিহত ব্যক্তির আইনী উত্তরাধিকারীর স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যাওয়া উচিত। নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী একটি বিশেষ ফর্ম, অর্থাত্ ৭ নম্বর ফর্ম পূরণ করে মৃত্যু সার্টিফিকেটের সঙ্গে জমা দিতে হবে। তাহলে ভোটার আইডি কার্ডটি বাতিল হবে।

প্যান কার্ড

মৃত ব্যক্তির আয়কর রিটার্ন (ITR) জমা দিতে কাজে লাগতে পারে। এই জাতীয় অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ওই ব্যক্তির প্যান কার্ড (Pan Card) বাধ্যতামূলক। আয়কর বিভাগ কর্তৃক ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া না হওয়া পর্যন্ত আইনত উত্তরাধিকারীরা প্যান কাছে রাখতে পারে। আয়কর বিভাগ সম্পর্কিত সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, উত্তরাধিকারীর উচিত আয়কর দফতরে গিয়ে প্যান কার্ড সমর্পণ করা।

পাসপোর্ট

পাসপোর্টের (Passport) ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুতে আত্মসমর্পণ বা বাতিল করার কোনও বিধান নেই। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার কোনও পদ্ধতি নেই। তবে একবার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে এটি ডিফল্টরূপে অবৈধ হয়ে যায়। যাইহোক, মৃত্যুর পরেও এই নথিটি উত্তরাধিকারীর কাছে রাখা বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত, কারণ আপনি এটি পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.