কলকাতা: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি তোলপাড় হয়েছে মাদক কাণ্ড নিয়ে। বলিউড সদস্যদের সঙ্গে মাদক যোগ খুঁজতে পুলিশ ও গোয়েন্দা এক জোট হয়ে তদন্তে নেমেছেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সুরাহা হয়নি। এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার হলেও, এখনও এই মামলার কিনারা করতে পারেননি কেউ।

সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। অভিযোগ ওঠে সুশান্ত নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। সুশান্ত নাকি ছবির সেটেও মাদক সেবন করতেন। কিন্তু, এই কথা মানতে নারাজ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।

সুশান্তের সঙ্গে ‘দিল বেচারা’ ছবিতে কাজ করেছেন টলিউড ব্যক্তিত্ব শাশ্বত। টলিউডের সঙ্গে সমান তালে তিনি বলিউড ছবিতে কাজ করে চলেছেন। বলিউড তাঁর সেকেন্ড হোম। ‘দিল বেচারা’ ছবিতে কিজির বাবার চরিত্রে কাজ করেছিলেন শাশ্বত। সহ অভিনেতা হওয়ার দরুন সুশান্তের সঙ্গে সেটে অনেকদিন কাজ করেছিলেন। সম্প্রতি, কলকাতা 24X7 -এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুশান্তের স্বভাব ও মাদকসেবন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে শাশ্বত বলেন, “মাদক সেবনের অভিযোগ সুশান্তের বিরূদ্ধে উঠেছে ঠিকই। কিন্তু, আমি কোনওদিন দেখিনি। সুশান্ত খুবই ডেডিকেশন দিয়ে কাজ করত। কেউ যদি মাদক সেবন করত, তাহলে এরকম পারফরমেন্স দিতে পারত না। দিল বেচারা ছবির গানটা ভালো করে দেখলে বুঝবেন পুরোটা একটি টেকে শ্যুট করা। কেউ যদি সেটে মাদক খেয়ে থাকত তাহলে ওরকম ডান্স পারফরমেন্স দিতে পারত না। গানে চেয়ার ওপর উঠে পারফর্ম করেছেন। যা মাদক সেবন করলে কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।”

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মতে, সুশান্ত সিং রাজপুত সত্যিই অন্যদের সঙ্গে আলাদা ছিলেন। তাঁর বই পড়ার অভ্যেস তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। এর সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুশান্তের খেলার প্রতি আগ্রহ ছিল। সুশান্তের বই পড়ার খুব নেশা ছিল। ছবির দৃশ্য নিয়ে আলোচনা করার জন্য ওঁর ভ্যানে গিয়েছিলাম। সুশান্তের ভ্যানে নানা রকম বই দেখেছি। সারাক্ষণ, মহাকাশ নিয়ে চর্চা করতেন। নানা রকম বিষয়ের বই পড়তেন। তাঁরা জানার আগ্রহ ছিল বিশাল। সারাক্ষণ, সুশান্ত কোনও না কোনও বই নিয়ে ঘুরতেন।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.