কোপেনহাগেন: শনিবার সন্ধেয় সাময়িক স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল ফুটবল বিশ্ব। প্রায় ঘন্টাখানেকের চরম উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে উয়েফার প্রাথমিক বিবৃতিতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ফুটবল জনতা। মাঝের সময়টুকু পার্কেন স্টেডিয়ামে(Parken Stadium) সংজ্ঞাহীন হয়ে লুটিয়ে পড়া ডেনমার্ক তারকা ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের(Christian Eriksen) জন্য কেবলই আকুল প্রার্থনা বিশ্বের ক্রীড়া অনুরাগীদের। ইন্টার মিলান(Inter Milan) তারকা আদৌ বেঁচে ফিরবেন তো? মুখে প্রকাশ না করলেও সবচেয়ে খারাপ এই সম্ভাবনাই বারবার কু-ডাকছিল অনুরাগীদের মনে। তারপর এরিকসনের স্থিতিশীলতার খবরে যেন জিতে গেল ফুটবল।
যে বর্ণবাদ(Racism) নিয়ে সাম্প্রতিক ফুটবল বিশ্বে এতো হইচই, কয়েকঘন্টার জন্য যেন সব মিথ্যে হয়ে গিয়েছিল। এরিকসনের ডাকেই সাময়িক বন্ধ হয়ে যাওয়া ম্যাচ খেলতে পুনরায় মাঠে নামেন সাইমন কায়ের(Simon Kjaer), কার্লোস ব্রাথওয়েটরা(Carlos Brathwaite)। যদিও ম্যাচটি হেরে যায় ডেনমার্ক কিন্তু তাতে কী? ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। আপাতত যা খবর তাতে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন ২০১০ বিশ্বকাপে কনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে ড্যানিশ ব্রিগেডকে নেতৃত্ব দেওয়া এরিকসন। তবুও ফুটবল অনুরাগীদের মনের কোনে একটা প্রশ্ন কিন্তু কাঁটার মত খচখচ করে বিঁধছেই। সেটা হল ক্রিশ্চিয়ান কী পারবেন পেশাদার ফুটবল চালিয়ে যেতে?
খুব একটা আশার বানী এখনই শোনাতে পারছেন না প্রোফেসর সঞ্জয় শর্মা(Prof. Sanjay Sharma)। যিনি ইংল্যান্ড ফুটবলের গভর্নিং বডির(FA) কার্ডিয়াক কনসেনসাস গ্রুপের একজন বিশেষজ্ঞ। এরিকসন টটেনহ্যাম হটস্পারে(Tottenham Hotspur) খেলার সময় তাঁকে খুব কাছ থেকে মনিটর করেছেন প্রোফেসর শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, ‘কী হয়েছিল সেটা জানি না কিন্তু যেটা হয়েছিল সেটা সাঙ্ঘাতিক খারাপ কিছু একটা।’ পুনরায় এরিকসনের পেশাদার ফুটবলে প্রবেশ করার আগে খুব কঠোর হতে চাইছেন তিনি। প্রোফেসর শর্মা জানিয়েছেন ২০১৯ পর্যন্ত এরিকসনের হৃদয়ে কোনওরকম অসুখের সম্ভাবনা আঁচ করেননি তিনি। তাহলে শনিবারের ঘটনাকে কী শুধুই হার্ট-অ্যাটাক(Cardiac-Arrest) বলা যাবে? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
কার্ডিয়াক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ‘হার্ট-অ্যাটাক একাধিক কারণে হতে পারে। কিন্তু এরিকসনের ঘটনার পিছনে কোন কারণ কাজ করেছে খুঁজে বের করতে হবে।’ তবে হাসপাতালে সংজ্ঞা ফিরে আসার বিষয়টিকে খুব ভালো লক্ষণ বলছেন তিনি। প্রোফেসর শর্মার কথায়, ‘আমি খুব খুশি যে ওঁ এখন স্থিতিশীল এবং সংজ্ঞা ফিরে এসেছে। তবে আমি জানি না ওঁ আর ফুটবল খেলতে পারবে কীনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটিকে তৎক্ষণাত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ না করলে ওঁর আজ মৃত্যু হতে পারত। কয়েক মুহূর্তের জন্য হলেও ওঁ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল। চিকিৎসকেরা কী চাইবেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক? আমার উত্তর হবে না।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.