মিল্টন পাল, মালদহ: ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh) সীমান্ত মিলিক সুলতানপুর থেকে ধৃত চিনা (China) অনুপ্রবেশকারী হান জুনওয়ের বিষয়ে আরও তথ্য পেয়েছে জেলা পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই চিনা নাগরিকের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ইংরেজি স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে। সন্দেহ সে চিনা গুপ্তচর।

ধৃত হান জুনওয়ে (han junwei) এখন পুলিশ প্রশাসনের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার কালিয়াচক থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিলিক সুলতানপুর এলাকায় ধরা পড়ে হান। জেরায় উঠে আসে, বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল সে। অনুপ্রবেশের পরেই বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে এই ব্যক্তি। তার কাছ থেকে ভারতীয় মোবাইলের সিম,বাংলাদেশি মোবাইলের সিম,এবং চিনা মোবাইলের সিম, ল্যাপটপ বেশ কিছু ডিভাইস উদ্ধার হয়।

বিএসএফের পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতিতে দাবি করা হয় এই ব্যক্তি চাইনিজ গুপ্তচর। এরই মধ্যে উত্তর প্রদেশে পুলিশের লখনও এটিএস দাবি করে, এই ব্যক্তির নামে উত্তরপ্রদেশে মামলা রয়েছে। এর গুঁরগাওে হোটেল আছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় ১৮ জনকে ইউপি এটিএস গ্রেফতার করে। তখনই উঠে আসে হান জুনওয়ের নাম। তার স্ত্রী কে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় হান।

ইতিমধ্যেই এটিএস এর পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের কাছে এই ব্যক্তির নামে নোটিশ জারি করার আবেদন করা হয়েছে। এটিএস সূত্রে জানা গেছে যেহেতু এই ব্যক্তির নামে উত্তরপ্রদেশের আদালতে মামলা রয়েছে। সেই কারণে সেখানকার আদালত থেকে হানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হবে। অথবা মালদহ জেলা আদালতে আবেদন করে হেফাজত চাইতে পারে এটিএস। জেলা আদালত হানকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে ও বিভিন্ন সূত্রে এই তথ্য পায় পুলিশ।

রহস্যজনক হানের ল্যাপটপ কীভাবে খোলা হবে তাও চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের কাছে। সেক্ষেত্রে এথিক্যাল হ্যাকারদের ডাকা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আরেকটি সূত্র মনে করছে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে বন্ধুর সাথে ছিল হান, তার সম্বন্ধে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে মালদহ জেলা পুলিশ। বাংলাদেশে হানের একজন মাত্র বন্ধু ছিল নাকি বেশ কয়েকজন রয়েছে সেই বিষয়ে হান জিজ্ঞাসাবাদ করছেন জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।

জেরায় উঠে এসেছে, চিনের একটি সেনা ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে হানের। পড়াশোনা করেছেন ইংরেজি নিয়ে। আইবি সূত্রে খবর ইউনিভার্সিটি চিনা সেনার দ্বারা পরিচালিত। কেন ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এই যুবব সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। পুলিশ সূত্রে খবর ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে মালদহে প্রবেশ করে হান নেপাল-ভুটানের দিকে যেতে পারত। জেলা পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া জানিয়েছেন তদন্তের স্বার্থে তিনি এ নিয়ে কিছুই বলবেন না।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.