কোপেনহাগেন: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন। দলের সতীর্থদের সঙ্গে হাসপাতাল থেকেই যোগাযোগ রাখছেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন(Christian Eriksen)। শনিবার হাসপাতাল থেকে ভিডিও কলেই সতীর্থদের মাঠে নামার বার্তা দিয়েছিলেন ড্যানিশ তারকা। কিন্তু মাঠে তাঁর আচমকা ওইভাবে লুটিয়ে পড়ার কারণ কী? যা কাঁদিয়ে ছেড়েছিল ফুটবল বিশ্বকে। রবিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সেই ঘটনারই ব্যাখ্যা দিলেন ডেনমার্ক দলের চিকিৎসক মর্টেন বোয়েসেন(Morten Boesen)। উপস্থিত ছিলেন দলের কোচ ক্যাসপার হালম্যান্ড(Kasper Hjulmand)।

বোয়েসেন জানান, কী হয়েছিল তার সবিস্তার ব্যাখ্যা একজন কার্ডিয়্যাক চিকিৎসক দিতে পারবেন। আমি কার্ডিয়্যাক স্পেশালিষ্ট নই। তবে পার্কেন স্টেডিয়ামে যে গতকাল হৃদরোগেই(Cardiac Arrest) আক্রান্ত হয়েছিলেন এরিকসন, সেটা নিশ্চিত করেছেন তিনি। বোয়েসেন জানিয়েছেন, ‘আমি নিজে চোখে সামনে থেকে ঘটনাটা দেখিনি। ঘটনা ঘটার পর আমি স্ক্রিনেই দেখেছি। আপনারা যা দেখেছেন আমিও ঠিক তাই দেখেছি। কোনও সবিস্তার ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। এটুকু বলতে পারি ওঁ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল। আমরা কার্ডিয়্যাক রিসাসিটেশন(CPR) করে ফিরিয়ে এনেছি।’

তিনি আরও বলেন যে, ‘আমরা ওঁকে হারানোর কতোটা কাছে ছিলাম আমি জানি না। তবে দ্রুততার সঙ্গে ডেফিব্রিলেশন(defibrillation) করেই আমরা ওঁকে ফিরে পেয়েছি।’ এদিকে রবিবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনের আগে ডেনমার্ক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের(Danish FA) প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন ইন্টার মিডফিল্ডার। ডেনমার্ক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন রবিবার জানিয়েছে, ‘আজ সকালে আমরা ওঁর সঙ্গে কথা বলেছি। দলের সতীর্থদের ওঁ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আপাতত স্থিতিশীল তবে হাসপাতালে আপাতত একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ওঁকে।’

শনিবার এরিকসনের ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০১২ ফ্যাবরিস মুয়াম্বার(Fabrice Muamba) কথা। এফএ কাপের ম্যাচে টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন এভাবেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বোল্টন(Bolton Wanderers) ফুটবলার। পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে উঠলেও মুয়াম্বার কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল ওখানেই। ১৭ মার্চ ২০১২ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে ওই বছরের অগস্টেই ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। এরিকসনের ঘটনায় তাই স্বাভাবিকভাবেই উৎকন্ঠায় মুয়াম্বাও। শনিবার তিনি টুইটে লেখেন, ‘হে ঈশ্বর দয়া করো।’ ড্যানিশ তারকার প্রাক্তন ক্লাব টটেনহ্যাম টুইটারে জানিয়েছে যে, তাঁরা ক্রিশ্চিয়ান ওঁ তাঁর পরিবারের সঙ্গে আছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.