কেরল, ত্রিসুর: টিকটকের (TikTok) দৌলতে রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছিল কেরলের ভিগনেশ কৃষ্ণ (Vignesh Krishna)। তবে ভারত টিকটক তেকে টিকটক ব্যান হয়ে যাওয়ার এসব সেলিব্রিটিদের রমরমা বেশ খানিকটা কমেছে। এর মধ্যেই ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এল ভিগনেশ। এক নাবালিকার সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে সে। অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে নাবালিকাটি। পুলিশের কাছে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে বলে খবর। এই অভিযোগের ভিত্তিতে টিকটক তারকা ভিগনেশকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কেরলের (Kerala) ত্রিসুর জেলার বাসিন্দা ভিগনেশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) দৌলতে গত বছরই দুজনের পরিচয় ঘটে। তারপর কিছুদিনের মধ্যে দেখাও শুরু করে তারা। ভিগনেশ পরে মেয়েটির কাছে প্রতিজ্ঞা করে যে, সে তাকে বিয়ে করবে। এবং মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। তারপর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এরপরই মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে বলে জানা যায়। নাবালিকার পরিবার পুলিশ কাছে গিয়ে গোটা ঘটনা জানায়, এবং ভিগনেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ভিগনেশের খোঁজে তল্লাশি শুরু হতে সে পালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এমনকি দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য সে নাকি পাসপোর্টের জন্যও আবেদন করে।
তবে শেষ পর্যন্ত বিদেশে আর পালানো হয়নি ভিগনেশের। পুলিশের এক প্ল্যানেই ভিগনেশের সব প্ল্যান ভেস্তে যায়। পুলিশ প্রথমে ফোন করে তারা ভিগনেশের পরিবারকে খবর দেয়। জানায় তাঁদের ছেলের পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই কথা ছেলেকে জানাতে ব্যাকুল হয়ে পড়ে ভিগনেশের বাবা। ছুটে যায় ত্রিসুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ সেই সময় থেকেই ভিগনেশের বাবার পিছু নেয়। এবং তার বাবা ভিগনেশের কাছে পৌঁছতেই ছেলেক হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য ভিগনেশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
টিকটকের জেরে রাতারাতিই কিছু তরুণ-তরুণীরা সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে কমবয়সী নেটিজেনরা তো টিকটক বলতে পাগল। তেমনই এক টিকটক স্টার ছিল এই ভিগনেশ। তারকার তকমা লাগিয়ে যে সমাজে কুকর্ম করে বেরিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.