রাজনীতি একটা সম্ভাবনাময় শিল্প, জল্পনা উসকে দিলেন দুলাল
মুকুল রায়ের হাত ধরে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে, আবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলেন দুলাল বর। তিনি ভোটের আগে থেকেই একটু বেসুরো ছিলেন। ভোটের পর মুকুল রায় দলবদল করতেই কোমর বেঁধে দলের সমালোচনায় নেমে পড়লেন দুলাল বরও। তিনি এবার গুরু মুকুল রায়ের কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন। বলেছেন রাজনীতি একটা সম্ভাবনাময় শিল্প।
মুকুল রায় তৃণমূলে গিয়েই খেল দেখাতে শুরু করে দিয়েছেন
মুকুল রায দল ছাড়তেই দিকে দিকে বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রীদের খোঁজ মিলছে। সকলেই মুকুল রায়ের দেখানো পথেই ফের তৃণমূলে ফিরতে আগ্রহী। কেউ কেউ রাখঢাক না করেই বলছেন, মুকুল রায় যেখানে আমরাও সেখানে। কেউ কেউ বলতে পারছেন না, ঘুরিয়ে নাক দেখাচ্ছেন। সেইসঙ্গে এটাও স্পষ্ট মুকুল রায় তৃণমূলে গিয়েই খেল দেখাতে শুরু করে দিয়েছেন।
তৃণমূলে থাকাকালীন উনি আমার নেতা ছিলেন, বিজেপিতেও
দুলাল বরের আগে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বেসুরো হয়েছিলেন। উভয়ে একই সঙ্গে মুকুলের হাত ধরে দিল্লিতে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এখন আবার একইসঙ্গে বিজেপিতে বেসুরো। দুলাল বর তো স্পষ্ট বললেন, রাজনীতি করতে গেলে নেতা ধরতে হয়। তৃণমূলে থাকাকালীন উনি আমার নেতা ছিলেন, আবার বিজেপিতে আসার পরও উনি আমার নেতা
মুকুল রায় খাপ খাওয়াতে পারেননি বিজেপিতে, সম্মানের ঘাটতি
দুলাল বর কার্যত বলেই দিচ্ছেন তৃণমূলে চলে গেলেও মুকুল রায়ই তাঁর নেতা। অর্থাৎ বিজেপিতে পদাধিকারী হলেও তাঁর আত্মা তৃণমূল হয়ে গিয়েছে। তবু তিনি বলেছেন, রাজনীতিতে অসম্ভব কিছু নেই। কী করব, না করব তা ভবিষ্যৎই বলবে। দেখা যাক কী হয়। এটুকু বলতে পারি, মুকুল রায় খাপ খাওয়াতে পারেননি বিজেপিতে। ওঁর সম্মানের ঘাটতি ছিল।