মুকুলের 'টোটকায়' কান না দেওয়াতেই বিজেপির ধাক্কা, দলত্যাগের পরে অনুগামীদের দাবি ঘিরে জল্পনা

তিনি ম্যানেজ মাস্টার, তিনি কিং মেকার। বাম জমানাই হোক কিংবা তৃণমূলের (trinamool congress) ক্ষমতায় আসার পরেই হোক, মুকুল রায় (mukul roy) নিজেকে এভাবেই প্রমাণ দিয়েছেন। যা তিনি করে দেখাতে পেরেছিলেন ২০১৯-এর শুরু থেকে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এসে বিজেপি (bjp) সেভাবে পাত্তা দেয়নি মুকুল রায়ের কথা। যার জেরেই নির্বাচনে ধাক্কা বিজেপির। দাবি মুকুল অনুগামীদের। আর তারপরে নিজেকে আর গুরুত্বহীন না করতেই দলবদলের সিদ্ধান্ত।

১০০ পার করতে পারবে না বিজেপি

এবার ২০০ পার। অমিত শাহের এই স্লোগানেই তৃণমূল থেকে দলে দলে নেতা-কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সূত্রেই খবর অনুযায়ী, নিজের অনুগামীদের কাছে ২০০ শব্দেই নিজের আপত্তির কথা বলেছিলেন। মুকুল রায় নাকি বিষয়টি নিয়ে অমিত শাহ ও নাড্ডাদেরও বলার চেষ্টা করেছিলেন, আর যাই হোক সংগঠনের যা পরিস্থিতি তাতে বিজেপি ১০০ পার করতে পারবে না, ২০০ তো দূরের কথা। সেই পরিস্থিতিতে প্রচার থেকে তৃণমূলের মোকাবিলা, যা নিয়ে নাকি তিনি অনেক প্রস্তাবই দিয়েছিলেন। কিন্তু না নাকি কিছুই মানেনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

কথা শুনলে ভরাডুবি থেকে বাঁচত বিজেপি

সেই সময়ে বিজেপির সবাই মশগুল ২০০ আসন পাবেই। আর সেই মুহুর্তে মুকুল রায়ের উপদেশে বিজেপির আত্মবিশ্বাস নাকি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। মুকুল অনুগামীদের দাবি, এখন অনেক বিজেপি নেতাই বলছেন, সেই সময় যদি মুকুল রায়ের কথা শোনা হত তাহলে ভবাডুবির মতো পরিস্থিতি তৈরি হত না। আর মুকুল রায়ও হয়ত তৃণমূলে ফিরতেন না।

মুকুল রায়ের টোটকা-১

মুকুল রায় তৃণমূলের সংগঠনটা দেখতেন। ফলে বিজেপিতে আসার পরেও তিনি বলেছিলেন, সংগঠনটাকে শক্তিশালী করতে। কিন্তু ভোটের মুখে সংগঠনকে শক্তিশালী না করে হাওয়ায় সওয়ার হয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। ২০০ আসনের হাওয়া। অনুগামীদের দাবি অনুযায়ী, বিজেপির পদাধিকারীরা রাজ্য নেতৃত্বকে সংগঠন নিয়ে যাই রিপোর্ট দিন না কেন, আসল রিপোর্ট তো মুকুল জানতেন। তা হল, অনেক জায়গাতেই বুথ কমিটি থাকলেও, তা ছিল খাতায়-কলমে।

মুকুল রায়ের টোটকা-২

অনুগামীদের দাবি অনুযায়ী, মুকুল রায় পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে প্রচারে ধর্মীয় মেরুকরণ নিয়ে আপত্তি করেছিলেন। কেননা বেশিরভাগ না পছন্দর করলেও অনেক মুসলিমই বিজেপিকে পছন্দ করেন। কিন্তু প্রচারের মেরুকরণের চেষ্টার ফলে হিন্দু ভোটের পুরোটা যেমন বিজেপি পায়নি, অন্যদিকে সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীরাও ধীরে চল নীতি নিয়েছিলেন। অনেকে আবার বসেও গিয়েছিলেন। যার ফল বিজেপি পেয়েছে ভোটের বাক্সে।

মুকুল রায়ের টোটকা-৩

এবারের ভোটে প্রায় শুরু থেকেই বিজেপি চড়া মাত্রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত আক্রমণকেও বেছে নিয়েছিল। যা নিয়ে তিনি নাকি শুরুতেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলতে চেয়েছিলেন, বিষয়টিকে বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না। যদিও তা মানতে চায়নি বিজেপি নেতৃত্ব। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ তোলা হয়েছিল।

কৈলাসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ভাল

অনুগামীরা আরও বলেছেন, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মুকুল রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল না থাকলেও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যথেষ্টই ভাল ছিল। কিন্তু শেষের দিকে শীর্ষ নেতৃত্বের চাপে নাকি কৈলাশও মুকুল রায়ের কথায় কান দিতেন না। ফলে দলেই মুকুল রায় ক্রমশই একা হয়ে পড়ছিলেন। আর নির্বাচনের ফল বেরনোর পরেই ধীরে সুস্থে পুরনো দলেই ফিরে যাওয়া।

মুকুল ফিরতেই অভিষেকের পাখির চোখ ত্রিপুরা, বাঙালি আবেগ উসকে ২৪-এর ‘খেলা' শুরুমুকুল ফিরতেই অভিষেকের পাখির চোখ ত্রিপুরা, বাঙালি আবেগ উসকে ২৪-এর ‘খেলা' শুরু

More MUKUL ROY News  

Read more about:
English summary
Day by day Mukul Roy become unimportant in BJP is the reason behing his joinin in TMC
Story first published: Sunday, June 13, 2021, 16:26 [IST]