গত বছরের মতো এ বছরও আমরা লকডাউন এর সময় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছি। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাচ্চাদের অনলাইন ক্লাস জারি (online class) রয়েছে। যখন প্রথম অনলাইন পড়াশোনার ভাবনাটি পোষণ করা হয় সেই সময়ে বেশ কিছু মানুষ প্রশ্ন তুলেছিলেন আমাদের মতো দেশে এর কার্যকারিতা নিয়ে।

যেখানে বেশিরভাগ মানুষের এখনো অবধি শিক্ষার আলোয় প্রবেশ করতে পারেননি সেখানে এমন বিপুল সরঞ্জাম কেন এই প্রশ্নই উঠেছিল (online class)। প্রতিটি শিশুর হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেওয়াও প্রতিটি মা-বাবার পক্ষে সম্ভব নয়।

তাই বহু শিশু এখনও নিজেদের অনলাইন ক্লাস এর আওতায় আনতে পারেনি (online class)।

আবার বহু জায়গায় এমন হচ্ছে যে নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে অনলাইন ক্লাসে যোগ (online class) করলেও সেই ক্লাস বেশিক্ষণ চালাতে পারছে না শিশুরা। এমনই সমস্যা হয়েছিল এই ব্যক্তির সঙ্গে। কিন্তু ক্লাস না করলে পিছিয়ে পড়বেন এই ভয়ে তিনি বাধ্য হয়ে এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে তারপর গাছের মগডালে চড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ক্লাস করতেন। গত বছরের ঘটনা এটি।

মেঙ্গালুরুর বক্কালা গ্রামের শিরিষ তালুক এলাকায় ওই ছেলেটি বাস করতেন। শ্রীরাম হেজ পোস্ট গ্রাজুয়েট (post graduation) নিয়ে পড়ছিলেন। হাই স্পিড ইন্টারনেট না পেতে পারলে তিনি অনলাইন ক্লাসে দীর্ঘ সময় ধরে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তাই বাধ্য হয়ে তাঁকে একটি উঁচু গাছের মগডালে উঠে ঝুলে ঝুলে পড়াশোনা করতে হতো।

সেটাও আবার তিন ঘন্টার জন্য এবং এক কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পর। এক হাতে শক্ত করে গাছের ডাল ধরে থাকতেন এবং অপর হাতে স্মার্টফোন (smartphone) নিয়ে দিব্যি তিনি ক্লাস করতেন সহপাঠীদের সঙ্গে।

গ্রামে একটি বিশেষ নেটওয়ার্কই একমাত্র ভালো পাওয়া যেত। কিন্তু তিনি সেই সিম ব্যবহার না করায় তার ফোনে থাকা সিমটির নেটওয়ার্ক ভালো কাজে দিত না (poor network)। সে কারণে তাকে এমন কষ্ট করতে হত। সকাল ১০ টা থেকে ক্লাস শুরু হতো তারপর আবার দুপুরবেলা ৩ টের সময় আরেকটি ক্লাস হত।

গরমের মধ্যে এবং প্রচন্ড রোদের মধ্যে তাকে এমনভাবেই ক্লাস করতে হতো নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে এর পরেই তার ভাবনা ছিল যে সামনে বর্ষাকাল আসলে তিনি কী করবেন। এই ঘটনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে অনলাইন ক্লাস এর সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই। এই ঘটনার ফলে শ্রীরাম ভাইরালও হয়েছিলেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.