বিজ্ঞানে বিশ্বাস রেখে একদিকে যেমন মহামারি রোধে ক্রমেই সাফল্যের দোরগড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। সেথানে করোনাকে সামনে রেখেই গোটা ভারতে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক কুসংস্কার। করোনা ঠেকাতে কোথাও ভগবানের কাছে করা হচ্ছে মানত তো কখনও রাজনৈতিক নেতারা গোমূত্র পানের নিদান দিচ্ছেন। এদিকে এবার এই ছুতোয় কয়েকদিন আগেই যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের শুক্লাপুর গ্রামে তৈরি হল করোনা মাতার মন্দির।
এদিকে পুরাণ মতে ৩৩ কোটি দেবদেবীর দেশ ভারত। নানারূপে দেবদেবীরা পূজিত হন আসমুদ্র হিমাচলে। দুর্গা, কালী থেকে শিব, চণ্ডী বা লক্ষ্মী, সরস্বতী সহ নানা রূপে চলে আরাধনা। এবার তালিকায় নবতম সংযোজন করোনা। অনেকেই বলেই ভয় থেকেই আসে ভক্তি, আক অতিভক্তি থেকে আসে কুসংস্কার। আর এই রাস্তায় যোগী জমানায় গোটা দেশের নজর কেড়েছে উত্তরপ্রদেশ। কুসংস্কারই যেন সেখানে হয়ে উঠেছে নতুন সংস্কার।
সূত্রের খবর, শুক্লাপুর প্রতাপগড়েই সম্প্রতি এই একটি নিম গাছের নিচে মন্দির তৈরি করেছেন গ্রামবাসীরা। যেখানে প্রতিমার মুখে পরানো হয় সবুজ মাস্ক। তবে মন্দির তৈরির পরেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। অবশেষে ভেঙেও ফেলা হল সেই মন্দির। এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পুলিশের দিকে। কিন্তু পুলিশের তরফে এই বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৭ জুন এই করোনা মাতার মন্দিরটি খুলে দেওয়া হয় জনসাধারণের জন্য। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অনুদান নিয়েই তৈরি হয় মূল মন্দির। তবে গোটা দায়ভার নেন গ্রামেরই বাসিন্দা লোকেশ কুমার শ্রীবাস্তব। স্থানীয় পুরোহিত রাধেশ্যাম বর্মাকে এই মন্দিরের পুজোর দায়িত্বও দেওয়া হয়। কিন্তু মন্দির তৈরির সময় থেকে জমি থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বাড়তে থাকে বিতর্ক। তবে কে বা কারা মন্দির ভাঙল সেই বিষয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া না গেলেও নির্মাতা লোকেশ ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।