প্রতাপগড়: করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গড়ে উঠেছিল করোনা মাতার মন্দির। কিন্তু দিন পাঁচেকের মধ্য়েই ধূলিসাৎ হয়ে গেল তা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) জুহি সুকুলপুর (Juhi Shukulpur) গ্রামে। এই গ্রামের প্রতাপগড়ে (Pratapgarh) তৈরি হয়েছিল করোনা মাতার মন্দির।
করোনা এখন বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। কোথাও সংক্রমণ নিম্নমুখী, কোথাও আবার এখনও প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না মানুষ। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। বরং এই দেশের অবস্থা বেশ খারাপ। মাস খানেক আগেও দৈনিক সংক্রমণের গণ্ডি পেরিয়েছিল ৪ লক্ষ। এখন যদিও সংক্রমণ ক্রমশ কমছে। কিন্তু করোনার ভয় এখনও রয়ে গিয়েছে। সংক্রমণ কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা নিম্নগামী নয়। উত্তর প্রদেশেও করোনা এখনও মুছে যায়নি। তাই এই মারণ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে মন্দির গড়ে তুলেছিল প্রতাপগড়ের জনগণ। দেবীর নাম ‘করোনা মাতা’। আশা ছিল, যদি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে করোনা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কিন্তু শেষমেশ গ্রামবাসীদের ইচ্ছা ধোপে টিকল না। ৭ জুন মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আর তার পাঁচ দিনের মধ্যেই মন্দির ভেঙে দেওয়া হল।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, মাত্র ৫ দিন আগে লোকেশ কুমার শ্রীবাস্তব (Lokesh Kumar Srivastava) মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার জন্য স্থানীয়রা চাঁদাও দেন। লোকেশ কুমার মন্দিরে করোনা মাতার মূর্তিও বসান। গ্রামের পুরোহিত রাধে শ্যাম বর্মা (Radhey Shyam Verma) পুরোহিত নিযুক্ত হন। এরপর গ্রামবাসীরা মন্দিরে পুজো দিতে শুরু করে। কিন্তু সম্প্রতি সেই মন্দির পুলিশ ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তবে পুলিশের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের মতে মন্দিরটি এটি একটি বিতর্কিত স্থানে তৈরি হয়েছিল। বিরোধের কারণেই অন্য এক পক্ষ এটি ধ্বংস করে দেয়। লোকেশ নয়ডায় থাকেন। জয় প্রকাশ শ্রীবাস্তব (Jai Prakash Srivastava) ও নাগেশ কুমার শ্রীবাস্তবের (Nagesh Kumar Srivastava) সঙ্গে যৌথভাবে ওই জমির মালিক তিনি। মন্দির প্রতিষ্ঠার পর তিনি নয়ডায় ফিরে যান। নাগেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন জমি দখলের জন্য সেখানে মন্দির তৈরি করা হয়েছে। সাঙ্গিপুর থানার এসএইচও তুষারদত্ত ত্যাগী (SHO Tushardutt Tyagi) বলেছেন, মন্দিরটি বিতর্কিত জমিতে তৈরি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.