নয়াদিল্লি: ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের (Black Fungus) ওষুধে ট্যাক্স মকুব করা হলেও করোনা ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের উপর জিএসটি শুন্য করা হয়নি। এটি একটি জনবিরোধী সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে অভিযোগ করার চেষ্টা হলে কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। তার কথা না শুনে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে (Nirmala Sitharaman) চিঠি লিখে অভিযোগ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra)। পাশাপাশি জিএসটি শুন্য করে অধ্যাদেশ আনার কথাও বলেন।
জিএসটি কাউন্সিলের (GST Council) বৈঠকে নেওয়া জনবিরোধী সিদ্ধান্ত আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে । জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে আমাদের কাছে কট্টর সিদ্ধান্তকে ন্যায়সঙ্গত করার কোনও উপায় নেই, বলে জানিয়েছেন অমিত মিত্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে দুটি জিনিস তিনি উল্লেখ করেন, করোনা সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে এখনই করোনা টিকা ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে জিএসটি শূন্য করা হোক। পাশাপাশি দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই বিষয়টি কার্যকর করতে আইনে বদল এনে একটি অধ্যাদেশ আনুক কেন্দ্র।
এছাড়া চিঠিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠককে অগণতান্ত্রিক বলে অভিযোগ করেছেন অমিত মিত্র। বৈঠকের শেষে বক্তৃতার সময় তাঁর একাধিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাতে অমিত মিত্রের নামও নেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রীকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
অপরদিকে, করোনা (Corona) চিকিৎসার সব সরঞ্জাম করমুক্ত (Taxfree) করার দাবিতে অনড় তৃণমূল। কেন্দ্রকে করনীতি পুনর্বিবেচনা ও জিএসটি কাউন্সিলের (Gst Council) বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে তুলোধনা করেন ব্রাত্য বসু, সুখেন্দুশেখর রায়রা। করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম করমুক্ত না করায় কেন্দ্রের সরকারকে অমানবিক বলেও তোপ দেগেছেন তৃণমূলের এই দুই নেতা।
জিএসটি কাউন্সিলের (GST Council) বৈঠকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের(Black Fungus) ওষুধ টোকিলিজুমাব এবং আম্ফোটেরিকিন বি এর মতো ওষুধের উপর থেকে ট্যাক্স তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ভ্যাকসিনের (Vaccine) উপর ৫ শতাংশ জিএসটি বজায় রেখেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.