প্রচারে কল্যাণকে নিশানা করেছিলেন রাজীব
রাজীব ও কল্যাণ বাদানুবাদ আজকের নয়। দল ছাড়ার পরেই কল্যাণকে নিশানা করেছিলেন রাজীব। তিনি বলেছিলেন, ২০১৯-এ শ্রীরামপুরে ৪ জনের নামে সার্ভে হয়েছিল। সেখানে চতুর্থ নাম ছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনিই দায়িত্ব নিয়ে ডোমজুড় থেকে ৫৫ হাজারের লিড দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে ডোমজুড় থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৪০ হাজারের লিড পেয়েছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন রাজীব। পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পেশাদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তিনি (কল্যাণ) রোজগার করেন সরকারের ওকালতি করে।
পাল্টা ৩০ হাজার ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন কল্যাণ
পাল্টা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিল ডোমজুড়ে ও (রাজীব) চক্রান্ত করেছিল। যে কারণে তার লিড কমে যায়। পাশাপাশি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এমন হারাবো যে তিনবছর ভুম থেকে উঠতে পারবে না। কমপক্ষে ৩০ হাজার ভোটে হারাবেন বলেও চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন কল্যাণ। পেশাদারিত্ব নিয়ে জবাবে কল্যাণ বলেছিলেন, তিনি পেশাদার লোক। রাজীব নিজে গিয়ে তাঁর পায়ে ধরেছিল, মামলা বাঁচানোর জন্য।
একমাসেই ঘুম চলে গিয়েছে
এদিন জোমজুড়ের রাজচন্দ্রপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের আগে তাঁর বলা কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ভোটের আগে তিনি বলেছিলেন ৩০ হাজার ভোটের হারাবেন, তিন বছর ঘুমোতে দেবেন না। তা ভোটের ফল বের হওয়ার একমাস পরেই কী হয়েছে দেখুন, ঘুম চলে গিয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় চরকির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
কুণাল আর রাজীবই কি শুধু বুদ্ধিমান
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলছেন। ভোটের আগে বাঁকড়ায় মিছিল নিয়ে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। এদিন তিনি শনিবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে কুণাল ঘোষের দাবিকেও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, যদি সৌজন্য সাক্ষাতই হবে, তাহলে সংবাদ মাধ্যম এখানে গেল কী করে। পাল্টা তিনি বলেন, তারা কি গরু-ছাগল আর রাজীব-কুণালই কি শুধু বুদ্ধিমান? তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, রাজীব তৃণমূলে ফিরলে তা দলের কর্মী সমর্থকরা মেনে নেবেন কিনা, তা আগে দেৎা দরকার।