সালেম: মমতা ব্যানার্জির বিয়ে করছেন। পাত্র আবার সোশ্যালিজম (Socialism)! দিন দুয়েক আগে সেই কার্ড রীতিমত ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অবশেষে সোশ্যালিজমের সাথে বিয়েটা সেরেই ফেললেন মমতা। ১৩ জুন তামিলনাড়ুর (Tamilnadu)সালেমে সমস্ত রীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন হল মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) ও সোশ্যালিজমের (Communism)। বিয়েতে উপস্থিত ছিলে সোশ্যালিজমের পিতা সালেমের সিপিআই জেলা সভাপতি এ মোহন। সোশ্যালিজম ছাড়াও তাঁর আরও দুই ছেলে আছে। একজনের নাম কমিউনিজম, আরেক জনের নাম লেনিনিজম।

পাত্রীর পুরো নাম অবশ্য পি. মমতা ব্যানার্জি (P Mamata Banerjee)। কিন্তু তাঁর নাম এমন কেন? জানা যায়, তাঁর পরিবার ছিল কংগ্রেস সাপোর্টার। কংগ্রেসের সাথে যখন মমতার সুসম্পর্ক ছিল, তখন তাঁকে দেখে অনুপ্রাণইত হয় এই পরিবার। এবং সেই পরিবার তাঁর নাম রাখেন মমতা ব্যানার্জি।

এবিষয়ে পি. মমতা ব্যানার্জি জানান,’যখন আমি ক্লাস টেন-এ পড়ি তখন আমি আমার নামের কারণ বুঝতে পারি। এটা নিয়ে আমার বন্ধুরা আলোচনা করত।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা সম্বন্ধে কনে বলেন, ‘আমি তাঁকে টিভিতে অনেকবার দেখেছি। খুব শক্ত মানুষ উনি। এবং এটা বলতে পেরে আমি গর্ববোধ করি। ‘

অন্যদিকে এ মোহন (A Mohan) এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সকলেই বলতে শুরু করে পৃথিবী থেকে কমিউনিজম উড়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গোটা দর্শনটাই। আমার স্ত্রী তখন গর্ভবতী। বড় ছেলের জন্মের পর তাই কমিউনিজম নাম রাখার সিদ্ধান্ত নিই। আমি বিশ্বাস রাখি বিশ্বে মানবসভ্যতা যতদিন আছে, কমিউনিজমের দর্শনও ততদিন থাকবে।’

বিয়েতে জাঁকজমকপূর্ণ আড়ম্বর তেমন ছিলনা। সাধারণভাবেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এই নাম নিয়ে বলতে গিয়ে বর বলেন যে, নামে রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও তা তাদের জীবনে প্রভাব ফেলবে না। তাঁর এক হতে পেরে খুশি। সুখ-দুঃখে দুজনে দুজনের পাশে থাকাও অঙ্গিকার করেছে তাঁরা। সোশ্যালিজম বলেন, ‘যাই-ই হোক না কেন, সারাজীবন আমরা দুজন একসঙ্গে থাকব।’

এই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর সিপিআই চিফ আর মুথারাসান, সাংসদ কে সুব্বারায়ান সহ বেশ কয়েকজন বাম নেতা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.