লন্ডনঃ জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে আমেরিকা সহ কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU), ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপানের নেতারা হাজির হয়েছেন ব্রিটেনে। সেখানকার কর্নওয়ালে শুক্রবার থেকে শুরু জি-৭ সম্মেলন। সেখানে প্রথমবারের মতো ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেন। প্রায় একঘণ্টা চলে সেই বৈঠক। আর সেই বৈঠক শেষেই এদিন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রিটেন ও আমেরিকার (Britain & America) সম্পর্ককে ‘অবিনশ্বর’ বলে উল্লেখ করেন। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানানোর পাশাপাশি এই দুই দেশের শীর্ষনেতার মধ্যে আলোচনা ‘চমৎকার’ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বরিস।
এই চলমান জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের (G-7 Summit) মাঝে ব্রিটেন এবং আমেরিকার (America) রাষ্ট্রপ্রধান উপহারও বিনিময় করেন। জানা গিয়েছে, জো বাইডেন হাতে তৈরি ছয় হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের একটি সাইকেল বরিস জনসনকে উপহার হিসেবে দেন, সেখানে বরিস আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে (Joe Biden) উনিশ শতকের দাসত্ব বিরোধী প্রচারকের একটি ছবি দেন। বাইডেনের তরফে যে সাইকেলটি জনসনকে দেওয়া হল, সেটি আসলে ব্রিটিশ ইউনিয়ন জ্যাককে উৎসাহিত করতে বলে জানা গিয়েছে। লাল – সাদা – নীল রঙের সাইকেলটির ক্রসবারে দুই বিশ্বনেতার স্বাক্ষর রয়েছে। পাশাপাশি সাইকেলটির হেডটিউবে রয়েছে দুই দেশের জাতীয় পতাকাও।
অন্যদিকে, জনসন (Boris Johnson) যে ছবিটি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উপহার হিসেবে দিল, সেটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী উনিশ শতকের সবচেয়ে বড় দাসত্ববিরোধী প্রচারক ফ্রেডারিক ডগলাসের। দুই দেশের শীর্ষনেতার এহেন উপহার এবং কুশল বিনিময়ের পর বাইডেন তাঁর টুইটারে বরিস জনসনকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সম্পর্ক আগের থেকে দৃঢ় হবে বলেও উল্লেখ করেন। এদিকে বরিস জনসন জানান, দু’দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে, গোটা বিশ্বের স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির বিষয়ে সবচেয়ে বড় দুটি মিত্র দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও দৃঢ় হল।
উল্লেখ্য, এই জি-৭ সম্মেলনের মুখ্য আলোচ্য বিষয় গুলিতে আছে করোনা ভাইরাসের টিকা (Corona Vaccine) এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোও। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য হল, করোনা ভাইরাস মহামারী (Corona Pandemic) শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো কোনও বিশ্ব সম্মেলনে (World Summit) সশরীরে অংশ নিচ্ছেন বিশ্ব নেতারা (World Leaders)।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.