লোকসভা ভোটের পরেই দলে দলে বিজেপিতে
জেলায় জেলায় মুকুল রায়ের অনুগামীরা তৃণমূলে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায়ের দল পরিবর্তনে যে জেলায় বিজেপিতে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে, তার মধ্যে রয়েছে বীরভূম। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির সাফল্যের পরে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন লাভপুরের তৎকালীন বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, তাঁর ছেলে আসিফ ইকবাল এবং গদাধর হাজরা। এই তালিকায় পরে যুক্ত হন বিদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতা। মনিরুল ইসলাম দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় রাজ্য বিজেপিতে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি মনিরুল ইসলামকে। তবে তাঁর ছেলেকে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার স্থানীয় সদস্য করা হয়েছিল।
বিধানসভা ভোটে টিকিট পাননি অনেকেই
২০১১ সালে নানুর থেকে জয়লাভ করেছিলেন গদাধর হাজরা। ২০১৬-তে আসনটি সিপিএম-এর কাছে হারায় তৃণমূল। এবারের নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির একাংশের তরফ নানুর থেকে গদাধর হাজরা এবং লাভপুর থেকে আফিস ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত দুটি কেন্দ্রের ক্ষেত্রেই না করেনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে লাভপুর থেকে নির্দলপ্রার্থী নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মনিরুল ইসলাম। যদি তিনি হালে পানি পাননি।
ভরসা অনুব্রত মণ্ডলেই
একটা সময়ে অনুব্রত মণ্ডলে দোষারোপ করে তৃণমূল ছেড়েছিলেন মনিরুল ইসলাম, গদাধর হাজরার মতো নেতারা। মুকুল রায় দলের ফেরার পরে এবার তাঁরা তৃণমূলে ফিরতে চান। তবে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া গতি নেই। এবার তাই অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁদের নেতা বলে বর্ণনা করে দরবার শুরু করেছেন। সেইসব নেতাদের মুখেই এখন বিজেপিকে দোষারোপের পালা।
গোয়ালে ফিরছে গরু
একথা বলে রাখা ভাল মুকুল রায়ের দলে ফেরাকে সেরকমভাবে ভাল চোখে দেখেননি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেছিলেন, গোয়ালের গরু থাকে। রাতে দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আবার খুঁটিতে এনে বাঁধা হল। তিনি বলেছেন, আগে শোনা যেত মুকুল রায় তৃণমূলের চাণক্য। তো ২০২১-এর নির্বাচনে তো মুকুল রায় তৃণমূলে ছিলেন না, তাও বড় জয় পেয়েছে তৃণমূল। দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ করা বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।