ইসলামাবাদ: পাকিস্তান (Pakistan) থেকে পাঠানো আম (Mangoes) নিতে অস্বীকার করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States) ও চিন (China) সহ বিশ্বের একাধিক দেশ। বিশ্বের ৩২টি দেশকে ‘আমের কূটনীতি’ বা ‘Mango diplomacy’ উদ্যোগ হিসেবে এই আম পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। বুধবার পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তরফে যে ঝুড়ি ভর্তি আম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা পাকিস্তানের উপহার গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। করোনার কারণে যে কোয়ারেন্টাইন পরিস্থিতি চলছে তার জেরেই এই অস্বীকার বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভির (President Dr Arif Alvi) তরফে ৩২টি দেশের প্রধান বা সরকারকে চৌসা আম পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্য়ে ছিল ইরান, গাল্ফের দেশগুলি, তুর্কি, ব্রিটেন, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও রাশিয়া। সূত্রের খবর, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকরুনকেও (French President Emmanuel Macron) আম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্যারিসের তরফে তা গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়া কানাডা, নেপাল, মিশর ও শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকেও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের উপহার গ্রহণ করতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে। তবে এই প্রথম যে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হল, তা নয়। এর আগে আনওয়ার রাতাউল (Anwar Rattol) এবং সিন্ধারি (Sindhari) আম পাঠানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেগুলিও স্থগিত হয়ে যায়।

তবে পাকিস্তানের তরফে ভারতের জন্য একটি সুখবর রয়েছে। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ভারতীয় কুলভূষণ যাদবকে (Kulbhushan Jadhav) আপিল করার অধিকার দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ (National Assembly of Pakistan) একটি বিল পাস করেছে। অর্থাৎ এই বিল অনুযায়ী যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে কুলভূষণ যাদব আপিল করতে পারবে। আগেই আন্তর্জাতিক আদালত, পাকিস্তানের জাতীয় সংসদকে (National Assembly of Pakistan) বিচারের সিদ্ধান্তটি “পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনা” করা নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (Islamabad High Court) কুলভূষণ যাদব মামলায় পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রককে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয়। কুলভূষণ মামলায় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ভারতকে (India) তার এক্তিয়ার সম্পর্কিত অবস্থানটি ব্যাখ্যা করা উচিত বলে জানানো হয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.