মুকুল ফিরে আসায় তৃণমূলের সংগঠন মজবুত হবে
তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মুকুল রায় সংগঠনের দেখভাল করছেন। কোনওদিন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফিরে দেখতে হয়নি সাংগঠনিক দিকে। মুকুল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর যে কাজে ঘাটতি পড়েছিল, এবার সেই কাজে জোট দিতে চাইছেন মমতা। মুকুল রায় ফিরে আসায় তৃণমূলের জেলার সংগঠন ফের তাঁর হাত ধরেই মজবুত হবে।
মুকুলের হাত ধরেই ফের ড্যামেজ কন্ট্রোল তৃণমূলে
মুকুল রায় যে পদ্ধতিতে তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী করেছিলেন ২০ বছর ধরে। সেই একই ধারা তিনি প্রয়োগ করেছিলেন বাংলায় বিজেপির উত্থানে। এখন বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে, তাই এবার ঘরে ফিরে মুকুল রায় তাঁর পুরনো কাজকে আরও নিপুণভাবে করতে চাইছেন। মুকুলের হাত ধরেই ফের তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোল নেমে বিজেপিতে থাবা বসাবে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে, মুকুলের অবস্থানগত রাজনীতি
২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগদানের পর মুকুল নিজের হাতে তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে খানখান করে দিয়েছিলেন। জেলায় নিচুতলার নেতা-কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ঢুকেছিলেন মুকুলের হাতযশেই। এবার সেই সব নেতা-কর্মীরাই ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরবেন। এটাই মুকুলের অবস্থানগত রাজনীতি।
মুকুল ফের তৃণমূলের সংগঠনের গুরুদায়িত্বে ফিরবেন
কোনওদিন বিধায়ক-সাংসদ হওয়ার দিকে তাঁর লক্ষ্য ছিল না। তিনি দলকে মজবুত করতেই বশি পারদর্শী। ফলে মুকুল রায় ফের তৃণমূলে সংগঠনের গুরুদায়িত্বেই ফিরবেন, তা বলাই যায়। তিনি সংগঠনের কাজে এলে জেলায় জেলায় তৃণমূলের শক্তি যেমন বাড়বে, তেমনই জেলায় জেলায় বিপাকে পড়বে বিজেপি।
মুকুলের সঙ্গে সঙ্গেই ওঁরা ফিরে আসছেন তৃণমূলে
মুকুল রায় সর্বদা সমান্তরাল একটা সংগঠন তৈরি করে রাখেন জেলায়। মুকুল যখন যেখানে, একটা শ্রেণির নেতা-কর্মীরাও সেখানে যান কোনও কিছু না ভেবেই। তা দেখা গিয়েছে বিগত দিনে। এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যেমন তৃণমূল ছাড়ার সময় তাঁর সঙ্গে নিচতুলার নেতা-কর্মীরা ভিড় করেছিলেন বিজেপিতে, তেমনই উল্টো স্রোতও বইবে এবার। নিচুতলার নেতা-কর্মীরা মুকুলের সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে যাবেন তৃণমূলে।
ড্যামেজ কন্ট্রোল করানো হবে মুকুল রায়কে দিয়ে
তৃণমূল চাইছে, আসন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েক ভোটের আগে মুকুল রায়কে দিয়ে জেলাগুলিকে শক্তিশালী করতে। বিজেপির উত্থান তৃণমূলের সংগঠনে খানিক প্রভাব ফেলেছিল। তারই প্রভাবে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক জেলায় তৃণমূল ভালো ফল করতে পারেনি। এবার সেইসব জায়গায় ড্যামেজ কন্ট্রোল করানো হবে মুকুল রায়কে দিয়ে।
তৃণমূলের সংগঠন নিয়ে ভাবনা দূর করবেন মুকুল
রাজ্যের প্রতিটি জেলায় মুকুল-অনুগামীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে বীরভূম, নদিয়া, জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, উত্তরবঙ্গের বহু জেলায় মুকুলের দখল রয়েছে। ফলে মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর বিজেপির দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারেন। তেমনই তৃণমূলের সংগঠন নিয়ে ভাবনা দূর হতে পারে।