ফিরতে চান সব্যসাচী
মুকুলের ঘরওয়াপসির পরেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী দত্তকে ঘিরে। কারণ গত কয়েক দিন ধরেই বেসুরো হতে শুরু করেছেন তাঁরা। রাজীবের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ। তার পরেই সব্যসাচীও বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন। গতকাল মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরেই সব্যসাচী এক প্রকার তৃণমূলে ফেরার বার্তা দিয়েছেন।
সব্যসাচীতে আপত্তি
বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর প্রতিপক্ষ করা হয়েছিল সব্যসাচী দত্তকে। মুকুলের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। লোকসভা ভোটের আগেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা ভোটে বিধাননগরের টিকিট দেয় বিজেপি। কিন্তু সুজিতের জনপ্রিয়তার কাছে হার মানতে হয় সব্যসাচীকে। হারের পরের বদলাতে শুরু করেন তিনি। দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু তাঁকে তৃণমূলে ফেরানো হোক সেটা চাইছেন না সুজিত। যদিও প্রকাশ্যে এই নিয়ে কথা না বললেও তিনি বলেছেন তাঁর যা জানানোর দলকে জানাবেন। বিধাননগরে প্রথম থেকেই দল শক্তিশালী। আলাদা করে শক্তিশালী করার প্রয়োজন নেই।
গদ্দারদের ফেরানো হবে না
গতকাল মুকুল রায়কে দলে সামিল করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন অনেকেই আবার দলে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু সকলকে ফেরানো হবে না। গদ্দারদের কোনও ভাবেই আর দলে জায়গা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এই গদ্দার বলতে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন যাঁরা নির্বাচনের আগে ছেড়ে যাওয়া দল নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তাঁদের তিনি আর ফেরাবেন না। এই তালিকায় সব্যসাচীও রয়েছেন কিনা সেটা এখন দেখার।
কারা ফিরতে চাইছেন
মুকুল রােয়র তৃণমূলে ফেরার মধ্যে দিয়েই দলবদলী অন্য নেতাদের ফেরার রাস্তা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই মুকুল ঘনিষ্ঠ একাধিক বিজেপি নেতা বেসুরো হতে শুরু করেছেন। নোয়া পাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং থেকে শুরু করে বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।