কাঁচরাপাড়া: তৃণমূলে (Tmc) যোগ দিয়েছেন গতকালই। শুক্রবার রাত থেকেই তাঁর কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে মোতায়েন করা হয় রাজ্য পুলিশের কর্মীদের। এরপর শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কলকাতায় রওনা দেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তিনি ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও এদিন তাঁর সঙ্গেই কলকাতায় আসতে দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মুকুল রায়ের সুরক্ষা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে কোনও নির্দেশ পাননি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
শুক্রবার বিকেলে পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে (Subhranshu Roy) সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল ভবনে পৌঁছোন মুকুল রায়। ‘ভুল হয়ে গিয়েছে’, তৃণমূলনেত্রীকে দেখেই বলেন মুকুল রায়। তারপর তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) , অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee) , পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ‘ঘরে’ ফেরেন চাণক্য। মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায়কে উত্তরীয় পরে দলে স্বাগত জানান সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুকুল রায় দলে ফেরায় খুশি তৃণমূলনেত্রী স্বয়ং। তিনি বলেন, ‘‘ওল্ড ইজ অলওয়েজ গোল্ড। মুকুল আমাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি। আরও অনেকে দলে আসন।’’ অন্যদিকে তৃণমূলে ফিরে উচ্ছ্বসিত মুকুল রায়ও। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাকে নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের মধ্যে কোনও মতবিরোধ ছিল না। বিজেপি করব না তাই পুরনো দলে এলাম। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিতে কেউ থাকবে না।’’ যদিও মুকুল রায়ের দল ছাড়ায় কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘উনি দলে আসার পরেও যেমন লাভ বিশেষ কিছুই হয়নি, তেমনি দল ছাড়লেও ক্ষতি হবে না।’’
এদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে ছিলেন মুকুল রায়। মুকুলকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা নিরাপত্তা দেন। তবে তৃণমূলে ফিরতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর সুরক্ষার দায়িত্বে এবার রাজ্য পুলিশ। গতকাল রাতেই মুকুল রায়ের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে মোতায়েন করা হয় রাজ্য পুলিশ। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীও আজও রয়েছে মুকুলের সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট মহল থেকে মুকুলের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশিকা না আসাতেই আধাসেনার জওয়ানরা মুকুল রায়ের সুরক্ষায় মোতায়েন রয়েছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.