নয়াদিল্লি: একদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতির যেমন উন্নতি হচ্ছে তেমন চাঙ্গা হচ্ছে শেয়ার বাজারও। এরমধ্যেই টানা ৫২ সপ্তাহ পর শুক্রবার আন্তঃদিনের ব্যবসায় (Intra-day trade) কোল ইন্ডিয়ার (Coal India) শেয়ার আবার শীর্ষে উঠে এল। এদিন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE)-এ কোল ইন্ডিয়ার প্রতি শেয়ার ১৬৫ টাকায় পৌঁছায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি, শেয়ার প্রতি ১৬২.৯৫ টাকা ছিল। করোনা সংকটেও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থার শেয়ার মূল্যের বৃদ্ধি পাওয়া দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। গত দুই সপ্তাহ ধরে শেয়ারের দাম বাড়ার কারণে, কোল ইন্ডিয়া (Coal India) বাজার থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
কোল ইন্ডিয়ার (Coal India) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে উৎপাদন ও প্রেরণ হয়েছে ৫৫.১ মিলিয়ন টন। ২০২১-এর মে মাসের মধ্যে উৎপাদন ও প্রেরণ ৩৭.৬ শতাংশ রেজিস্টার্ড করা হয়েছে। যদিও বছরের প্রথম দু মাসেই তা ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুত কেন্দ্রগুলিতে সামগ্রিক বিদ্যুতের চাহিদা ৭ শতাংশ বৃদ্ধি এবং পুনরায় মজুদের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়া শেয়ার মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, চাহিদা পুনরুদ্ধারের সঙ্গে ই-নিলাম প্রিমিয়াম এবং আদায় এই উন্নতির প্রধান কারণ। বিশ্লেষকরা আশাবাদী এরফলে ধুঁকতে থাকা কয়লা খনিগুলো ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াবে। বিশ্বব্যাপী তাপবিদ্যুৎগুলোতে কয়লার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ই-নিলাম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ উত্সাহজনক। বিশ্বব্যাপী মন্দা থাকা সত্ত্বেও ২০২২ এর মধ্যে কোল ইন্ডিয়ার শেয়ার ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন তারা।
অপরদিকে,শুক্রবার ১৭৪.২৯ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স হয়েছে ৫২,৪৭৪.৭৬ অঙ্ক। নিফ্টি ৬১.৬০ পয়েন্ট উঠে পৌঁছেছে ১৫,৭৯৯.৩৫ অঙ্কে। দু’টিই নতুন রেকর্ড। গত দু’দিনে বিএসই-তে লগ্নিকারীদের সম্পদ বেড়েছে ৩.২৬ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। শুক্রবার দিনের শেষে বাজারে শেয়ারের মোট মূল্য ছাড়িয়েছে ২৩১ লক্ষ কোটি। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে লাগাম পড়েছে। ঘোষণা হয়েছে নতুন টিকাকরণনীতি। লগ্নিকারীদের আশা বাড়ছে, এর ফলে ছন্দে ফিরবে কাজকর্ম। ঋণনীতিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ছোট মাঝারি শিল্পের জন্য যে ঋণের বন্দোবস্ত করেছে তার প্রভাবে সূচক বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.