ওয়াশিংটন: মারণ ভাইরাস করোনার (Corona Virus) দাপটে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। কিন্তু তার উৎপত্তি এখনও অজানা। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে আবার তদন্তের দাবি উঠছে। এর মধ্যেই চিনের গবেষকরা নতুন ধরণের করোনার ভাইরাস সনাক্ত করার দাবি করেছেন। যা কিনা বাদুড় (Bat) থেকেই ছড়ানোর আশঙ্কা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন আবিষ্কৃত করোনার ভাইরাসের প্রজাতি জিনগতভাবে কোভিড -১৯ ভাইরাসের খুব কাছাকাছি থাকতে পারে। গবেষকরা বলেছেন যে দক্ষিণ-পশ্চিম চিনে করোনার ভাইরাসের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার থেকে জানা গেছে যে, বাদুড়ের শরীরে বিভিন্ন ধরণের করোনা ভাইরাস থাকতে পারে যা মানুষকে সংক্রামিতও করতে পারে।
সেল জার্নাল (Cell Journal) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে শানডং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, “আমরা বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড় থেকে ২৪ ধরণের নোভেল করোনভাইরাস সংগ্রহ করেছি, যার মধ্যে চারটি ভাইরাস SARS-CoV-2 এর মতো।” এই নমুনাগুলি ২০১৯ এর মে থেকে ২০২০ -এর নভেম্বরের মধ্যে ছোট বন, পাহাড়ি এলাকা থেকে পাওয়া বাদুড় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন যে তারা প্রস্রাব ও বাদুড়ের মল পরীক্ষা করার পাশাপাশি মুখের ত্বকের নমুনাও নিয়েছেন।
চিনের গবেষকদের মতে, একটি ভাইরাস জিনগতভাবে SARS-CoV-2 এর সঙ্গে খুব মিল রয়েছে। SARS-CoV-2 একমাত্র করোনার ভাইরাস যা সারা বিশ্বে সর্বনাশ ডেকে এনেছে। স্পাইক প্রোটিন ছাড়া এটির গঠন একই রকম।
গবেষণাপত্র চিনের গবেষকরা দাবি করেছেন, বাদুড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়ায়। নতুন ধরণের করোনার ভাইরাস আবিষ্কার এমন এক সময়ে সকলের সামনে এসেছে, যখন বিশ্বব্যাপী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে কোভিড -১৯ এর উদ্ভব সম্পর্কে নতুন করে তদন্তের দাবি করা হচ্ছে। আমেরিকা সহ জি ৭-এ অন্তর্ভুক্ত দেশ এই বিষয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে। চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। তারপর প্রায় দেড় বছর হয়েছে, এখনও জানা যায়নি কোথায় এই ভাইরাসের উৎপত্তি। বিজ্ঞানীরাও দাবি করছেন যে উহান ল্যাব থেকে করোনার ফাঁস হওয়ার দাবিগুলিও আরও তদন্ত করা উচিত এবং সত্যটি সন্ধান করা উচিত।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.