ইসলামাবাদ: অর্থনৈতিক দিক থেকে একেবারেই ভেঙে পড়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। অপরদিকে সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে সেখানে বেড়ে গিয়েছে গাধার সংখ্যা। আর তাকেই হাতিয়ার বানাল বিরোধীরা। পাক সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হতেই চরম বিক্ষোভ দেখায় তারা। ইমরান বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠলো গোটা পাক সংসদভবন। ইমরান খান (Imran Khan) সরকারের অর্থমন্ত্রী শউকত তারিনের বাজেট বক্তৃতা শুরু করতেই বিরোধীরা গর্জে উঠলো ‘ডাঙ্কি রাজা কি সরকার নেহি চলেগি’ স্লোগানে। এদিন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গাধা বলে তীব্র কটাক্ষ করে বিরোধীরা। শুধু তাই নয় গাধা রাজার সরকার চলবে না বলে স্লোগানও তোলে।

Opposition party member of Pakistan chant ‘Donkey Raja Ki Sarkar Nahi Chalegi’ during the budget session of the parliament. #NayaPakistan (#CountryofBeggers) pic.twitter.com/JtSSBIIBnh

— Birpratap Singh $ਬੀਰਪ੍ਰਤਾਪ ਸਿੰਘ$ (@BirPra_Singh) June 12, 2021

ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইমরান সরকারের মাথায় ছিল ১ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি টাকার দেনা। তারপরে মহামারীর ধাক্কা। অর্থনৈতিক দিক থেকে মারাত্মক সমস্যার মুখে পড়েছে পাকিস্তান। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সামলে সমস্ত ক্ষেত্রেই প্রভূত উন্নতি ঘটিয়েছে বর্তমান সরকার। তার পরিসংখ্যান বাজেটে তোলার চেষ্টা করেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর সেই সব দাবি চাপা পড়ে যায় বিরোধী নেতানেত্রীদের কটাক্ষ ভরা স্লোগানে।

এদিকে সম্প্রতি জানা গিয়েছে পাকিস্তানে গাধার (Donkey) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গাধা উৎপাদনে বর্তমান বিশ্বের তৃতীয় দেশ পাকিস্তান। জানা গিয়েছে সেদেশে ৫০ লক্ষেরও বেশি গাধা রয়েছে। প্রতি বছর অন্তত ১ লক্ষ করে গাধার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে প্রতিবছর বিদেশেও রপ্তানি করে গাধা। ২০১৯-২০ এর তুলনায় ২০২০-২১ সালে পাকিস্তানে পশুর সংখ্যা ১৯ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে। গাধাপালকের দাবি, এই গাধার ব্যবসা থেকে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা লাভ হয়। এখানকার আবহাওয়া গাধা পালনের জন্যে উপযুক্ত। এমনিতেই ইমরানের বিরুদ্ধে একযোগে বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে বিরোধী শিবির। ক্রমেই বেকায়দায় ইমরান সরকার। তা এদিনের ঘটনায় স্পষ্ট।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.