নয়া দিল্লিঃ প্রায় ১৩৭ কোটি জনসংখ্যা যুক্ত ভারতের টিকাকরণ অভিযানটি (Vaccination Drive) শুরু হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই টিকাকরণের উপরই ভরসা করা হয়েছে বিশ্বজুড়ে। সেখানে ভারতে গোড়াতে অর্থাৎ প্রথমত, স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং প্রবীণরা এতে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এর পরে, এপ্রিল মাসে, ৪৫ বছর বয়সীদের জন্য এই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছিল। তারপরে মে মাসে, সরকার ১৮-৪৫ বছর বয়সীদেরও ভ্যাকসিন দেওয়ার শুরু করেছিল সরকার।
মারাত্মক সংক্রমণ বৃদ্ধিঃ
এপ্রিল মাসে, সারা দেশে করোনা (Corona) সংক্রমণে তীব্র বৃদ্ধি ঘটে। এর পরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টিকাকরণ অভিযান আরও জোরদার ভাবে চালুর ঘোষণা দেন। ১ মে থেকে ১৮-৪৫ বছরের বয়সীদের জন্য টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। এ কারণে, এই বয়সের লোকেরা সরকারি কোউইন ওয়েবসাইটটিতে ব্যাপক ভাবে নাম নিবন্ধন করেছে। কোটি কোটি মানুষ এই বিভাগে আসে। তবে সেই সময়, ভ্যাকসিনের সরবরাহ একই অনুপাতে বাড়তে পারেনি।
ভ্যাকসিনের ঘাটতিঃ
এর ফলে হাসপাতালে ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) বিশাল সংকট দেখা দেয়। এটি এমন পর্যায়ে এসেছিল যে কয়েকটি টিকা কেন্দ্র বন্ধও ছিল। ইতিমধ্যে, ভারতের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা টিকা দেওয়ার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে সহায়তা করার জন্য সফ্টওয়্যার এবং ওয়েবসাইট তৈরি করে। যার ফলে টিকাকরণ অভিযান অনেকটাই সহজতর হয়ে ওঠে। ৪ জুনের মধ্যে সরকার প্রায় ৫ কোটি ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনের কমপক্ষে একটি ডোজ দিয়েছে। যদিও এটি জনসংখ্যার মাত্র ৮ শতাংশ। দেশে দেখা দিয়েছিল টিকার ঘাটতি। যার জন্য বিদেশে ভ্যাকসিন পাঠানোকে দায়ী করেছে বিরোধীরা।
টিকাকরণ অভিযানে সমসাঃ
দেশে টিকাকরণ (Vaccination) অভিযানে সমস্যা অন্যতম ‘বাঁধা’ হয়ে উঠেছিল বেসরকারী ক্ষেত্রে টিকার দামের তুমুল ফারাক। ৯৫০ থেকে ১৮০০ টাকার বিনিময়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মানুষজন টিকা নিয়েছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপঃ
মোদী সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে দেশের সকল নাগরিককে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এমনকি চলতি বছরের মধ্যেই দেশের সমস্ত নাগরিককে টিকাকরণের আওতায় আনা হবে বলেও দাবি করে মোদী সরকার (Modi Govt)।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.