অন্যদের 'ঘর ওয়াপসি' নিয়ে জল্পনা শুরু
মুকুল রায়ের দলে প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল-ত্যাগী অন্যদের 'ঘর ওয়াপসি' নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু, শুক্রবারই তৃণমূল ভবনে নেত্রী সরাসরি স্পষ্ট করে দিয়েছেন কাদের নেওয়া হবে আর কাদের না। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বলেন, "ভোটের সময় মুকুল আমাদের দলবিরোধী একটাও কথা বলেননি। যাঁরা ভোটের সময় গদ্দারি করে বিজেপির হাত শক্তিশালী করতে গিয়েছেন এবং গদ্দারি করেছেন, তাঁদের আমরা নেব না-এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত। মনে রাখবেন, চরমপন্থী এবং নরমপন্থী আছে। রাজনৈতিকমহলের মতে, নরমপন্থীদের জন্যে রাস্তা খোলা থাকলেও শুভেন্দুর মতো চরমপন্থীদের কখনই দলে নেওয়া হবে না।
মুকুল ঘনিষ্ঠদের জন্য রাস্তা খোলা
মুকুলের সঙ্গে অনেকেই গিয়েছেন। মুকুল চলে আসায়, তাঁরাও চলে আসতে চাইবেন। সেটা দেখে নেওয়া হবে। কিন্তু, যাঁরা চরমপন্থী, নিম্ন রুচির পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের আমরা নেব না।। এমনটাই মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নেত্রীর এহেন বার্তায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন অনেকে। দলে ফিরিয়ে নেওয়ার আশায় রাজীব, সব্যসাচী সহ একাধিক নেতা।
দল ভাঙানোর খেলায় মুকুল!
দলে ফিরতেই দল ভাঙানোর খেলায় নেমে পড়লেন মুকুল রায়। বিরোধী দল ভাঙানোর খেলা মুকুল পারদর্শী। অনেকে বলেন, বাংলায় তাঁর হাত দিয়েই দল ভাঙানোর খেলা শুরু হয়। তৃণমূলে থাকালীন এই রাজনীতি শুরু করেছিলেন। এরপর বিজেপিতে গিয়েও করেছেন। আবার সাড়ে তিন বছর পর ফের তৃণমূলে ফিরে ফের বিরোধী দল ভাঙানোর খেলা শুরু করে দিলেন মুকুল রায়। উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দিয়েই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, বিজেপিতে কেউ থাকবে না। মুকুল রায়ের এহেন মন্তব্যের পরেই বিজেপির দাবি, তৃণমূলে ফিরেই খতমের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন উনি
একাধিক বিধায়ক-সাংসদকে ফোন
দল ভাঙানোর খেলা শুরু চাণক্যের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতেই ১০ বিধায়ককে মুকুল রায় ফোন করেছেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর।শূধু তাই নয়, দুই সাংসদকেও তৃণমূলে ফেরার জন্যে জানিয়েছেন বলে খবর। যার মধ্যে একজন উত্তরবঙ্গের সাংসদ রয়েছেন বলে খবর। যদিও পালটা ভাঙন রুখতে তৈরি বিজেপিও। ভাঙন রুখতে বেশ কয়েকজনকে মোদীর মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে বলে খবর। অন্যদিকে কারা কারা দলে আসতে প্রস্তুত তা নিয়ে সম্ভবত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনাতে বসতে চলেছেন মুকুল রায়। শনিবার দুপুরে সল্টলেকের বাড়ি ছেড়ে অভিষেকের অফিসের উদ্দেশ্যে রওণা দিয়েছেন তিনি।