তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়াঃ ‘টেরাকোটার গ্রাম’ বলেই পরিচিত তালডাংরার পাঁচমুড়া। অপরুপ সৌন্দর্যমণ্ডিত পোড়ামাটির শিল্পকর্মের জন্যই সারা বিশ্বেই পরিচিত নাম পাঁচমুড়া। এখানকার কুমোরপাড়ার শিল্পীরা সুনিপুন দক্ষতায় ফুটিয়ে তোলেন তাদের অপরুপ শিল্পকর্ম।
এবার পাঁচমুড়ার টেরাকোটা শিল্পীদের পাশে দাঁড়াল সংস্কৃতি মন্ত্রকও। মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে এখানকার বাছাই করা পাঁচ জন শিল্পীকে নিয়ে দশ দিনের ‘অনলাইন কর্মশালা’ শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত। এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া শিল্পীরা নিজেদের শিল্পকৃতি তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন।
চলতি করোনা আবহে (Corona Pandemic) স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত। ফলে উৎপাদিত শিল্প সামগ্রী বিক্রি না হওয়ায় চরম আর্থিক সমস্যায় এখানকার মৃৎশিল্পীরা। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলেই এখানকার মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষ জানিয়েছেন।
অনলাইন কর্মশালায় (Online Workshop) অংশ নেওয়া মৃৎশিল্পী ভূতনাথ কর্মকার, উর্মিলা কর্মকাররা বলেন, করোনা আবহে বাইরে যাওয়া আসা বন্ধ। শিল্পরসিক পর্যটকদের দেখা নেই। ফলে বিক্রিবাটা বন্ধ। চরম আর্থিক সমস্যায় তারা এই অবস্থায় এই প্রথমবার আমরা পাঁচ জন সুযোগ পেয়েছি। তবে আরো বেশি সংখ্যায় শিল্পীরা এই কর্মশালায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পেলে ভালো হতো। তিনি বলেন, দশ দিনের এই কর্মশালায় উৎপাদিত দ্রব্য আয়োজকরা কিনে নেবেন। একই সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাদের বিশেষ ‘সাম্মানিক’ দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে তালডাংরার বিধায়ক অরুপ চক্রবর্ত্তী বলেন, পাঁচমুড়ার মৃৎশিল্পীদের উৎপাদিত সামগ্রী যাতে অনলাইনে বিক্রির সুযোগ তৈরি করা যায় তা দেখা হচ্ছে। এবিষয়ে তিনি তালডাংরার বিডিও-র সাথে কথা বলবেন বলে তিনি জানান।
বাঁকুড়ার (bankura) পোড়ামাটির ঘোড়া ও হাতি নির্মাণের প্রধান শিল্পকেন্দ্রগুলি হল পাঁচমুড়া, রাজাগ্রাম, সোনামুখী ও হামিরপুর। প্রত্যেকটির নিজস্ব শৈলী রয়েছে। এগুলির মধ্যে পাঁচমুড়ার ঘোড়াগুলিকে চারটি ধাঁচের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। বাঁকুড়ায় পোড়ামাটির হাতি ও ঘোড়া তৈরি পটুয়ারা সৃষ্টি করেন। এর শিল্পরীতির পরিবর্তন হয়েছে বিস্তর।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.