সেই ফিরলেন মুকুল
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। অনেকটা মমতাকে চমকে দিয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মমতা নিজেও বিশ্বাস করতে পারেননি মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেবেন। বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে মুকুল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই দলবদলে বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন মমতা।
মুকুলের হাত ধরেই একের পর এক দলবদল
মুকুল রায়ের হাত ধরেই ২০১৯-র লোকসভা ভোটের সময় থেকেইএকের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগ দেন। সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তরা। এমনকী শীলভদ্র দত্তও মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিধানসভা ভোটে আগে।
তৃণমূলকে নিশানা
বিজেপিতে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের গায়ে রক্তের দাগ লেগে আছে বলে তীব্র নিশানা করেছেন তিনি। এই মুকুল রায়ের জোরেই লোকসভা ভোটে বাংলায় জমি শক্ত করেছিল বিজেপি। এক ধাক্কায় ১৮টি আসন বিজেপি পেয়েছিল লোকসভা ভোটে।
মমতার বার্তা
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা সময় থেকেই মমতার সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়। বিধানসভা ভোটের আগেই সেই মুকুল রায়কে নিয়েই নির্বাচনী প্রচারে বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন শুভেন্দুর মতো মুকুল অত খারাপ নয়। তৃণমূলে এই বিপুল ভাঙন ধরানোর পরেও কেন কেবল মুকুল রায়ের উপর সদয় হলেন মমতা। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০২৪-র লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে ঘর গোছাতেই মুকুলকে ফেরাতে সম্মত হয়েছেন মমতা।