ভোপাল: বিভিন্ন পাবলিক বাসের পিছনে ছন্দ মিলিয়ে নানা রকমের শায়েরি লেখা। ট্রাকগুলিতে তো আরও বেশি দেখা যায়। যা দেখে কেউ মুখ চাপা দিয়ে হাসে, তো কেউ সেই শায়েরিই বন্ধুদের কাছে গিয়ে ঝেড়ে দেয়। করোনা (covid 19) থেকে সুরক্ষিত থাকা জন্য শায়েরি ব্যবহার বোধহয় এই প্রথণ. এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজেদের উদ্য়োগে এমন কান্ড ঘটিয়েছে।
‘ট্রাকেতে করোনা শায়েরি’ নামে এই বিশেষ উদ্যোগ নেয় তাঁরা। তাতে বিভিন্ন ট্রাকের (truck) পেছনে নানারকমের শায়েরি লেখা হয়। সংগঠনের সদস্যরা মনে করছেন এভাবেই করোনা নিয়ে সচেতনতা আরও বাড়ানো যাবে। তাদের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
সংগঠনের সেক্রেটারি অমিত সিরভাইয়া জানান, বিভিন্ন ট্রাকের এছনে অভিনব সব শায়েরি দেখা যায়। আমরা আসল লাইন না বদলাব না। তবে তার মদ্যেই কিভাবে সচেতন থাকা যায়। তা আমরা শায়েরির মাধ্যমে তুলে ধরব।
তাদের তৈরি উল্লেখযোগ্য কিছু শায়েরি হল-
‘দেখো মগর পেয়ার সে… করোনা ডারতা হ্যায় ভ্যাকসিন কি মার সে…’
‘বুড়ি নজর ওয়ালে তেরা মুহ কালা, আচ্ছা হোতা হ্যায় ভ্যাকসিন লাগওয়ানে ওয়ালা…’
‘টিকা লাগাওগে তো বার বার মিলেঙ্গে, লাপওয়াহি কারোগে তো হরিদ্বার মিলেঙ্গে…’
‘চলতি হ্যায় গাড়ি উড়তি হ্যয় ধুল, ভ্যাকসিন লাগওয়া লো ওয়ারনা হোগি বড়ি ভুল..’
তাদের প্রচারে এমনই কিছু শায়েরি ব্যবহার করা হয়েছে। যা করোনা সচেতনতা অনেকটাই বাড়াবে বলে মনে করছে নেটিজেনরা। ট্রাকের পিছনে এসব শায়েরির ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ঝড়ে মত শেয়ার করছেন নেটিজেনরা।
সংগঠনের মারফত জানা গিয়েছে, সাঁচির প্রায় ৩০০ ট্রাক, ডাম্পার (Dumper), অটো রিকশার (Auto Rickshaw) এবং দুধের কন্টেনারে এমন শায়েরি লিখে প্রচার করা হচ্ছে। ১৮৪টি ট্রাক এবং লরি এই বিশেষ অভিযানে অংশগ্রহণ করেছে। এবং করোনার বিরুদ্ধে এমন প্রায় ৪০ টি শায়েরি বানানো হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই উদ্যোগে মধ্যপ্রদেশের মানুষের মুখে চওড়া হাসি। এভাবে যে সচেতনতা আরও বাড়বে তা একবাক্যেই মেনে নিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.