হাওড়া: শুধু স্বেচ্ছাসেবকরা নয়। বিপদের দিনে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। যেমন এবার এগিয়ে এলেন একদল শিক্ষিকা (teacher)।
সুন্দরবনের (sundarban) ইয়াস (yaas) ও কোটাল বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন আমতা-১ ব্লকের সোনামুই কাদম্বিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা। বৃহস্পতিবার আমতার (amta) অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর সদস্যদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বন্দনা পাঁজা।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, পার্শ্বশিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মচারী সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় আমরা এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এই উদ্যোগ নিলাম।’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সভাপতি অরুণ খাঁ বলেন, ‘আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা বিপুল পরিমাণ নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী ও শিক্ষাসামগ্রী নিয়ে সুন্দরবনের ক্ষয়িষ্ণু দ্বীপ ঘোড়ামারায় যাচ্ছি। সেই কর্মকান্ডে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।’
সম্প্রতি নামখানার মানুষের পাশে দাঁড়ায় আমতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বছরভর বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আমফান, করোনা, লকডাউনে সপ্রতিভ ওরা। ইয়াসেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের আগে নদী সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে সতর্কবার্তা দেওয়া, ত্রাণ শিবিরে মানুষকে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঝড়ের দিন থেকে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রামীণ হাওড়ার আমতার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’।
ইয়াস ও ভরা কোটালে বিধ্বস্ত গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুরের বিভিন্ন গ্রামের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের মায়াচরের মানুষের পাশে দাঁড়াতে ‘হার না মানা হেঁসেল’ নামক বিশেষ কমিউনিটি কিচেনও চালু করেছিল তারা। পাশাপাশি সুন্দরবনের ইয়াস বিধ্বস্ত গ্রাম নামখানা ব্লকের দক্ষিণ চন্দনপিড়ি গ্রামের বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায় ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর সদস্যরা।
আমতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির পক্ষ থেকে গ্রামের প্রায় ৫০ জন ছাত্রীর হাতে তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষাসামগ্রী, ব্লিচিং পাউডার, ওয়ারেস, স্যানিটারি ন্যাপকিন, মুড়ি, বিস্কুট সহ বিভিন্ন শুকনো খাবার তুলে দেওয়া হয়। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক শান্তনু বেরা। সংগঠনের কর্তা মানস পাল জানান, আগামী দিনেও সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় এই কর্মসূচি জারি থাকবে।
এর আগে গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুর লাগোয়া পূর্ব মেদিনীপুরের মায়াচরের বেশ কিছু কচিকাঁচাকে নিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করে আমতার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি।
ইয়াস ও ভরা কোটালের জেরে বাঁধা ভেঙে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই এলাক। পরিবেশ দিবসের দিন সকালে মায়াচরের সেই ভাঙা বাঁধের কাছে রূপনারায়ণের তীরে গাছের ছায়ায় অন্বেষা, শ্যামল, কার্তিকদের সাথে মিলিত হন অরুণ, রাকেশ, প্রসেনজিতরা।
বাঁধ রক্ষায় একটা গাছ কতটা গুরুত্বপূর্ণ কিমবা কীভাবে জীবকুলকে বাঁচিয়ে রাখে গাছেরা তা এদিন কচিকাঁচাদের বোঝানো হয়। সংগঠনের কর্তা পৃথ্বীশরাজ কুন্তী বলেছিলেন,”ধ্বংসের মাঝে সৃষ্টির বার্তা দিতে আমাদের এই উদ্যোগ। নতুন প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতার বীজ বপনই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।” শিশুদের নিয়ে একটি পরিবেশ ক্যুইজ অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে তাদের হাতে খাতা, পেন ও বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.