স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: অনুপ্রবেশের অভিযোগে মালদহের কালিয়াচক থেকে ধৃত চিনা নাগরিক হান জুন উই-কে জেরা করতে রাজ্যে এল উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসদমন বাহিনীর বিশেষ দল। বিশেষ সূত্রে এ খবর পাওয়া গিয়েছে৷ জেরা করতে আসার কথা এনআইএ-রও৷

সন্দেহজনকভাবে এক চিনা নাগরিককে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের জাওয়ানদের বিষয়টি জানান তারা। এরপর এই চিনা নাগরিককে আটক করে বিএসএফ। খবর দেওয়া হয় পুলিশ কর্তাদের। 

আরও পড়ুন: নিউটাউন এনকাউন্টার: নিহত দুই গ্যাংস্টারের দেহ নিতে কলকাতায় পরিবার

বিএসএফ সূত্রে খবর, কালিয়াচক থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা মিরিক সুলতানপুরে এই চিনা নাগরিককে ঘুরতে দেখা যায় সকালের দিকে। তাঁকে আটক করার পর কালিয়াচক পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২ জুন ব্যাবসায়িক ভিসায় ঢাকায় আসেন। সেখানে চিনা বাসিন্দার সঙ্গেই ছিলেন। ৮ জুন বাংলাদেশের নবাবগঞ্জে আসেন। সেখান থেকে ১০ জুন বৃহস্পতিবার ভারতে প্রবেশের সময় ধরা পড়েন বিএসএফের হাতে। এই চিনা অনুপ্রবেশকারীর কাছ থেকে ১ টি অ্যাপল ল্যাপটপ, ২টি আইফোন মোবাইল, ১ টি বাংলাদেশি সিম, ১টি ভারতীয় সিম, ২টি চাইনিজ সিম, ২টি পেন ড্রাইভ, ৩টি ব্যাটারি, ২ টি ছোট টর্চ, ৫টি টাকা লেনদেনের মেশিন, ২টি এটিএম কার্ড, ইউএস ডলার, বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়েছে। বিএসএফের গোয়ান্দা শাখা কর্তা ও রাজ্য পুলিশের গোয়ান্দাশাখার কর্তারা ওই চিনা নাগরিককেই ইতিমধ্যেই জেরা করেছেন।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই চিনা নাগরিক বাংলাদেশে ভ্রমণে এসেছিলেন। কোনওভাবে সীমান্তে কাছে এসে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

যে অঞ্চল থেকে চিনা নাগরিক ধরা পড়েন সেই মিরিক সুলতানপুর এলাকাটি জাল নোটের করিডর হিসাবে পরিচিত। বিগতদিনে এই করিডর দিয়ে নানা অপরাধমূলক কাজের ঘটনা ঘটেছে। ফলে গোয়ান্দাকর্তাদের অনুমান এই চিনা নাগরিকের মিরিক সুলতানপুরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরার পিছনে কোন অসৎ উদ্দেশ্য থাকলেও থাকতে পারে। সেই কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন বাহিনীর দল৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.