স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: মুকুল রায়ের পর এবার তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee)৷ সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই পুরনো দলে ফিরতে পারেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোটের আগে আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই কার্যত ঘরবন্দি তিনি। বিজেপি-র কোনও বৈঠকেই তাঁকে দেখা যায়নি। কার্যত নীরবতা বজায় রেখেছিলেন। দু-দিন আগে রাজীব তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে আসা সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না।’ রাজীব আরও লিখেছেন, ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দুর্যোগ বিধ্বস্ত বাংলার পাশে থাকুন। সবার ইয়াস-করোনায় বিপর্যস্ত বাংলার পাশে থাকা উচিত।’ বোঝা যাচ্ছে স্পষ্টতই রাজীব দলের নীতি এবং অবস্থানের বিরোধিতা করছেন। এমনকি হেস্টিংস অফিসে দলীয় বৈঠকেও তিনি ছিলেন না।
আরও পড়ুন: আজ তৃণমূল ভবনে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা প্রসঙ্গে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সংবাদমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘রাজীব আমার ছোট ভাইয়ের মতো। ও কেন বিজেপি-তে গেল এটা আমার কাছে বিস্ময়ের। যাওয়ার আগের আগের দিনও ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিনেও আমি ফোন করেছিলাম। কিন্তু দেরিতে হলেও, যদি বোধোদয় হয়, তা হলে সেটা ভাল লক্ষণ।’’ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজীবের ফেরার ব্যাপারে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বেরও যে সবুজ সঙ্কেত রয়েছে তা ফিরহাদের কথায় অনেকটাই স্পষ্ট৷
বিধানসভা ভোটের পর অনেকেই তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছেন। সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাসরা ইতিমধ্যেই লিখিত ভাবে সে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, শুভ্রাংশু রায় তৃণমূলে ফিরতে পারেন এমন জল্পনা চলছে ৷ শোনা যাচ্ছে, আজই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায় ও তাঁর পুত্র। তৃণমূল ভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের উপস্থিতিতে মুকুল এবং শুভ্রাংশুর তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। এদিন, এছাড়াও বাকিদের নেতাদের ফেরানোর ব্যাপারে এদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.