কোলাঘাট : গত ২৬ মে ইয়াস (yaas) ঝড়ের (storm) দাপটে কোলাঘাটের (kolaghat) রূপনারায়ন (rupnarayan) নদের ভয়ঙ্কর রূপের সাক্ষী ছিলেন কোলাঘাটের বাসিন্দারা। কয়েকটা দিন কাটতে না কাটতেই আবারও অমাবস্যার ভরা কোটাল আজ। তাই তৎপর হয়ে কাজ করছে প্রশাসন।

রূপনারায়ন নদের জলের স্রোত ক্রমশ বাড়ছে। ইয়াস ঝড়ের দিন পূর্ণিমা কোটালের জেরে রূপনারায়ন নদের জল বিপদসীমার উপর উঠে ভয়ঙ্কর রূপের সাক্ষী ছিল কয়েক হাজার মানুষ। এখনও ঠিক মতন নদী বাঁধের কাজ মেরামতি করে উঠতে পারেননি সেচ দফতর বা প্রশাসন। বিশেষ করে কোলাঘাট ব্লকের আমলহাণ্ডা অঞ্চল এবং কোলা ২ অঞ্চল এলাকায় নদীবাঁধের,মূলত দেনান থেকে কোলাঘাটের সাহাপুর সুইলিস পুল পর্যন্ত। বিভিন্ন জায়গার নদী পাড় ঝাঁপিয়ে জল আসার কারণে অনেক জায়গায় মাটি নরম হয়ে গিয়েছে। সেই সব জায়গায় ইতিমধ্যেই সেচ দফতর কাজ শুরু করেছে।

গত ২৬ তারিখেই সাহাপুরের সুইলিস গেট ভেঙে যায় নদীর জলের ব্যপক স্রোতে। নদীর জল প্রবেশ করে একাধিক গ্রাম এলাকায়।স্রোতে কংক্রিটের ব্রিজও ভেঙে যায়। আবারো আজ অমাবস্যার ভরা কোটাল। চলছে ভগ্ন এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে সাময়িক মেরামতির কাজ। জোর কদমে কাজ চালাচ্ছে সেচ দপ্তর এবং কোলাঘাট ব্লক প্রশাসন।

গ্রামবাসীরা আশঙ্কা করছে যদি নদীপারের দ্রুত কাজ শেষ না হয় আবারো বিভিন্ন গ্রামে রূপনারায়ন নদের জল ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা করছে। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে খবর দ্রুততার সাথে বাঁধ মেরামতির কাজ চালাচ্ছে। সব মিলিয়ে আবারও অমাবস্যা কোটালের রূপনারায়ণের নদের জলে বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় প্লাবিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় আতঙ্কে প্রহর গুনছে কোলাঘাটের বাসিন্দারা।

ল্যান্ডফল করে পশ্চিমবঙ্গের (westbengal)উপকূল(coast) ঘেঁষে যায় ইয়াস(yaas)। তবে তার আগে থেকেই রাজ্যের উপকূলে বহু এলাকার পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়ে গিয়েছিল। হয় বিপুল বৃষ্টি(rain) ও সঙ্গে ছিল জলস্ফীতির জেরে।

ভরা কোটাল এবং ইয়াসের জোড়া ধাক্কায় উভয়সঙ্কট দেখা যায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক স্থানের। দুর্যোগ(disaster) মোকাবিলায় করতে বাংলায় সেনা(army) নামানো হয়। রাজ্যের ১০ জেলায় সেনা নামানো হয়। হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর , পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূমে ১৭ কোম্পানি সেনা নামানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে দুযোগ মোকাবিলায় তৎপর হয় ভারতীয় সেনা। বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয় ত্রাণের সামগ্রী।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.