বাঁকুড়া : বজ্রপাতে (lightning) মৃত বাঁকুড়ার (bankura) রানীবাঁধের (ranibandh) দুই ব্যক্তির বাড়িতে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী (minister) মানস ভুঁইয়া (manas bhuiyan) ও সাংসদ (MP) কাকলী ঘোষ দস্তিদার (kakoli ghosh dastidar)। বুধবার রাতে তাঁরা রানীবাঁধের ঐ দুই গ্রামে যান।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুর তিনটা নাগাদ রানীবাঁধের তালগোড়া গ্রামের কৃষ্ণপদ হাঁসদা (৬৩) ও জয়নগর গ্রামের বাসুদেব মাহাতো (৪০) বজ্রস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। ঘটনার দিন রাজ্য সরকারের তরফে বজ্রপাতে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের লোকেদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
বুধবার রাতে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার প্রথমে তালগোড়া গ্রামের মৃত কৃষ্ণপদ হাঁসদার বাড়িতে যান। তাঁরা রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে দু’লক্ষ টাকা ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আরো দু’লক্ষ টাকা তুলে দেন।
মন্ত্রী ও সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি, জেলাশাসক কে.রাধিকা আইয়ার, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, খাতড়ার মহকুমা শাসক, রানীবাঁধের বিডিও, রাইপুর ও তালডাংরার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্ম্মু, অরুপ চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।
মৃতের পরিবারের তরফে রাজ্য সরকারের এই আর্থিক সাহায্যে খুশি বলে জানানো হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে সংসারের একমাত্র রোজগেরেকে হারিয়ে দিশাহারা অবস্থা। তাই একজনের চাকরি হলে ভালো হতো বলে তারা জানান।
মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, এর আগে বজ্রপাতে এতো মানুষের প্রাণ যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বিগ্ন। তিনি একদিনে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন।
শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, আগামী দিনে এই পরিবারগুলি যাতে কোন সমস্যায় না পড়ে প্রশাসন তা দেখবে বলে তিনি জানান।
সম্প্রতি বাজ (lightning) পড়ে রাজ্যে এক সঙ্গে ২৬ জনের মৃত্যু (death) হয়। বুধবার আরও ৬ জন মারা গিয়েছেন একই ঘটনায়। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা ৩২। এমত অবস্থায় সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (alipore weather office)। তাঁরা বলছেন আজ বৃহস্পতিবার ও আগামী ২৪ ঘন্টায় প্রচুর বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘লম্বা স্পেলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি তৈরি হবে। এটা হচ্ছে কারন সাগরে একটা নিম্নচাপ তৈরি হবে এগারো তারিখ, যার ধাক্কায় দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসবে। তো এই নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার আগে পর্যন্ত এই বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আমরা কতগুলি সতর্কতা জারি করছি সাধারণ মানুষের জন্য।
অন্তত এই দুই দিন যখনই অল্প থান্ডার এক্টিভিটি চালু হবে তখনই চেষ্টা করবেন পাকা বাড়ির ভিতরে আশ্রয় নেওয়ার। আর যারা বাড়িতে থাকবেন তারা যেন বাইরে না বেরোন। তাহলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি। কৃষক বন্ধুদের জন্য আমাদের অনুরোধ তাঁরা যেন এই পরিস্থিতি তৈরি হলে যেন মাঠে না থাকেন। বাড়ি ফিরে যান। কোনও বড় গাছ বা কোনও ফাঁকা বিশাল মাঠে একটা গাছ আছে সেখানে আশ্রয় নেবেন না। চেষ্টা করবেন নিজের বাড়ি চলে যাওয়ার। অন্তত এই কয়েকটা দিন।’
আবহাওয়াবিদ আরও বলেছেন, ‘পাশপাশি আমরা মৎস্যজীবীদের জন্য বলছি যে যারা মাছ ধরতে গিয়েছেন তারা যেন আজ বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে যেন ফিরে আসেন। আর যারা এখনও যাননি তারা যেন ১১ জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান, কারণ যেহেতু নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে তাই সমুদ্র উত্তাল থাকবে।’ আলিপুর আবহাওয়া দফতর এও জানিয়েছে, যদি বেশি বৃষ্টি হয় তাহলে কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলিতে তাহলে জল জমে রাস্তায় যানজট হতে পারে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.