বেসুরো বিজেপি নেতারা
মুকুল, রাজীব, শুভ্রাংশু একের পর এক নেতা দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করে দিয়েছেন। প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। বেসুরো বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যে একের পর এক বিজেপি নেতা প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে অভিয়োগ করেছেন। এমনকী মুকুল রােয়স সঙ্গেও দিলীপের দূরত্ব তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁরাই প্রকাশ্যে একের পর এক ক্ষোভ উগরে দিয়েছে
বেসুরো রাজীব
কয়েকদিন আগেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। নিজের ফেসবুক পোস্টে রাজীব নিজেই লিখেছিলেন তিনি বীতশ্রদ্ধ দলের প্রতি। তিনি অভিযোগ করেছেন কথায় কথায় দিল্লির জুজু দেখানো আর উগ্র হিন্দুত্ববাদ ভাল ভাবে নেয়নি বাংলার মানুষ। তার ফল মিলেছে ভোট বাক্সে।
বেসুরো সব্যসাচী
সব্যসাচী দত্তও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন মমতার যোগ্য প্রতিপক্ষ ৈতরি করে উঠতে পারেনি বিজেপি। শিখে বাংলা বলা আর যার মাতৃভাষা বাংলা তার বাংলা বলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সেই পার্থক্যটা মেটাতে পারেনি বিজেপি। তৃণমূলের বহিরাগত আক্রমণে দল ধরাশায়ী হয়েছে প্রকাশ্যেই এমনই অভিযোগ করেছেন সব্যসাচী। এদিকে মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশ রায়ও প্রকাশ্যে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
বেসুরোদের বার্তা দিলীপের
বেসুরোদের বার্তা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন যাঁরা দলের সঙ্গে সুর মেলাতে পারছেন না সেটা তাঁদের সমস্যা। তাতে দলের কোনও কিছু হবে না। যাঁরা বিজেপির উত্থানের সঙ্গে যুক্ত নন তাঁরাই মন খারাপ করে বসে রয়েছেন। তৃণমূল বিজেপি নেতাদের পুলিশ দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই হেস্টিংসে বৈঠক করে দলের নেতা কর্মীদের এই নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। এই কমিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতাদের পোস্টের দিকে নজর রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।